তরুণদেরকে হাতে কলমে দক্ষ করার লক্ষ্যে বিএইচটিপিএ’র ১৪টি নতুন প্রকল্প
এগিয়ে চলছে দেশের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক এর নতুন ১৪টি প্রকল্প। ডিজিটাল বাংলাদেশ এর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১’ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর সার্বিক নির্দেশনায় ২০৪১ সালের মধ্যে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী এবং জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় সজীব ওয়াজেদ জয় এর ব্রেইন চাইল্ড প্রকল্প হিসেবে নতুন ১৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মর্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি ও দেশের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৪টি জেলায় ৪৪ একরেরও বেশি জমিতে গড়ে উঠছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) আওতায় গড়ে ওঠা এসব সেন্টারে ন্যূনতম মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আইটি ও আইটিএস’এ দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে।
দেশের প্রতিটি দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক “শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার” স্থাপন করা হচ্ছে। ২০২২ সালের ১০ মে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৫তম একনেক সভায় “শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি)” প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনস্থ জেলাসমূহের মধ্যে নড়াইল, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ঢাকা (নবাবগঞ্জ), গোপালগঞ্জ, শেরপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারি, নোয়াখালী, ফেনী ও পটুয়াখালী রয়েছে।
প্রকল্পের আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুত সাশ্রয়ী হিসেবে ইনকিউবেশন ভবনসহ সকল অবকাঠামো দেশ বরণ্য স্থপতি রফিক আজম ডিজাইন করেছেন। তাঁর ডিজাইন ও তত্ত্বাবধায়নে প্রকল্পের সকল গুনগত মান বজায় রেখে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যেই নড়াইল, ঢাকা (নবাবগঞ্জ) ও হবিগঞ্জ জেলার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলার কাজ শুরু হবে।
আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন “শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি)” প্রকল্পের নির্মাণ কাজ আগামী ২০২৭ সালের জুন মাসে সমাপ্তির বিষয়ে নির্ধারিত থাকলেও বর্তমানে প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত তরুণ ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের সকল কাজ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সমাপ্তির সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন।
বিএইচটিপিএ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ জানান, ‘আমাদের গৃহীত এই ১৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রতিটিতে ১০০০ জনের কর্মসংস্থান ও ১০০ জন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের বেকার ও তরুণ জনগোষ্ঠী প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপশি দেশের স্টার্টআপ ইকো-সিস্টেম গড়ে উঠবে। অন্যদিকে প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত গ্রামের মানুষ শহরের সুবিধা পাওয়াসহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে’।