ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ১৯তম বিডিনগ সম্মেলন

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপ (বিডিনগ) ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইর্ডাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর যৌথ আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯তম বিডিনগ সম্মেলন ও কর্মশালা। তিন দিনব্যাপী (২১-২৩ মে) অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারনেট প্রকৌশলীদের জন্য ‘নেটওয়ার্ক অটোমেশন এবং এডভ্যান্সড বিজিপি রাউটিং উইডথ মাইক্রোটিক’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা। সম্মেলন সম্পর্কে বিস্তারিত: https://www.bdnog.org/bdnog19।
আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী ১৯তম বিডিনগ সম্মেলন। সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিনগ বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির, বিডিনগ সভাপতি রাশেদ আমিন বিদ্যুত, আইএসপিএবি সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম এবং মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া।
এ প্রসঙ্গে সুমন আহমেদ সাবির বলেন, “বাংলাদেশের প্রযুক্তি প্রকৌশলীদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, বিভিন্ন অপারেশনাল রিসার্চ সম্পাদন, স্থানীয় আইসিটি ট্যালেন্টদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রমোট করা এবং বাংলাদেশের জন্য অধিকতর ভালো ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করতে সহায়তা করার উদ্দেশ্য নিয়ে নিয়মিতভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে আসছি। আমরা যখন বিডিনগ সম্মেলন শুরু করি, তখনকার সঙ্গে তুলনা করলে এখন আমাদের প্রকৌশলীরা আরও অনেক বেশি দক্ষ। এই দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে বিডিনগের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে।”

মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বলেন, “বিডিনগ সম্মেলনের মাধ্যমে ইন্টারনেট খাতের উন্নয়নের পাশপাশি ধারাবাহিকভাবে দেশীয় অংশগ্রহণকারীদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন হচ্ছে। এর মাধ্যমে তৈরী দক্ষ প্রকৌশলীগণ ইতোমধ্যে বিদেশে নিজেদের কর্মক্ষেত্র তৈরির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখছে, আমরা আশাকরি যৌথভাবে আরও অধিক সংখ্যক প্রকৌশলীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা অবদান রাখতে পারবো।”
রাশেদ আমিন বিদ্যুত বলেন, “এ ধরনের প্রযুক্তি সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এক্সপার্টরা একসাথে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। ফলে আমরা দেখছি আমাদের ইন্টারনেট প্রকৌশলীদের দক্ষতা বাড়ছে। তাই আমরা বিডিনগ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৌশলীদের মান উন্নয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই।”
নাজমুল করিম ভুঁইয়া বলেন, “এই সম্মেলনের মাধ্যমে তৈরী প্রকৌশলীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা প্রদানে ভূমিকা রাখছে। আমরা যত বেশি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারবো, আমাদের ইন্টারনেট ততবেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় করতে পারবো।”