ডিভাইস শিল্প টিকবে বৈধ উৎপাদন ও আমদানির সুষম ভারসাম্যে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ক.বি.ডেস্ক: সরকার সর্বদা মোবাইল শিল্পের পাশে থাকবে যাতে এটি আরও বিকশিত হতে পারে এবং বিনিয়োগ সুরক্ষিত থাকে। আসলে ডিভাইস শিল্প টিকবে বৈধ উৎপাদন ও আমদানির সুষম ভারসাম্যে। যদি কর কাঠামোকে যৌক্তিক করি, তবে আরও অনেক বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসবে। সঠিক প্রণোদনা থাকলে মোবাইল ফোন ব্যবহার ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ এমনকি ৮০ শতাংশেও পৌঁছাতে পারে। সরকার সর্বদা এই শিল্পের পাশে থাকবে যাতে এটি আরও বিকশিত হতে পারে এবং বিনিয়োগ সুরক্ষিত থাকে।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে অবস্থিত স্মার্ট হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে অনার এর উৎপাদন কেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ সব কথা বলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বিটিআরসি-এর পরিচালক মো. নূরন্নবী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অনারের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জর্জ ঝেং, গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেরিক ডেং, স্মার্ট হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অনারের কান্ট্রি ম্যানেজার ল্যাং গুও, হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, “দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার প্রায় ৪১ থেকে ৪৫ শতাংশ। ২০২১ সালে বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের মোবাইল ফোন বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু ভুল নীতি ও কিছু অবৈধ আমদানির কারণে এ সংখ্যা কমে বছরে প্রায় ৮ বিলিয়নে নেমে এসেছে। তাই আমরা শিগগিরই অবৈধ মোবাইল ফোন আমদানি মোকাবিলায় ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) এর কাজ শুরু করছি এবং শুল্ক কাঠামো সংস্কার করছি, যাতে স্থানীয় উৎপাদন আমদানির তুলনায় আরও আকর্ষণীয় হয়। এই কারখানা লাইনগুলো বাস্তবিক অর্থেই কর্মসংস্থানবান্ধব করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে উল্লেখযোগ্য দক্ষ জনবল তৈরি হবে, দক্ষতা-বিনিময়ের সুযোগ বাড়বে।”
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব আরও বলেন, “তৃতীয় ও চতুর্থ সাবমেরিন কেবল যুক্ত হওয়ায় ডেটার মূল্যও কমে যাবে। ডিজিটাল গভর্নেন্স কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার বৃদ্ধি করবে। আমাদের সাইবার নীতি, ডেটা সুরক্ষা নীতি এবং ডেটা গভর্নেন্স/ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করবে এবং ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে জনগণের আস্থাকে আরও দৃঢ় করবে। ডিভাইসের সহজলভ্যতা আরও বাড়াতে হবে, পাশাপাশি তরুণদের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরির দিকেও নজর দিতে হবে। স্মার্ট ও অনার বাংলাদেশে অর্থবহ কর্মসংস্থান তৈরির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নের দিকে সত্যিকার অর্থেই একটি বড় পদক্ষেপ নিল।”





