সাম্প্রতিক সংবাদ

ডিজিটাল সনদ ব্যাংক গড়ে তোলা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৪৫ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট সংরক্ষণে ডিজিটাল সনদ ব্যাংক গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সব তথ্যের রেকর্ড থাকবে। দেশের এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট পোর্টফোলিও তৈরিতে বিডিরেন এক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হচ্ছে।

গতকাল রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডস্থ বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) এর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিডিরেন ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসি’র সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, বিডিরেন’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌরিত।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্যে ইউজিসি ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিডিরেনের সহায়তায় ডিজিটাল তথ্য ভান্ডার গড়ে তুলতে পারে। একটি সময়োপযোগী ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একটি একক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে বিডিরেন সক্ষম হয়েছে। এই নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল প্লাটফর্মের সুবিধা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ জনবল তৈরিতে অবদান রাখছে।”

বিডিরেন এর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

তিনি আরও বলেন, “বিডিরেনের মাধ্যমে আমরা একটা এডুকেশন ইকো সিস্টেম চালু করতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষা দেয়া, প্রযুক্তির সঙ্গে পরিবর্তিত দক্ষতা যেমন কোডিং জানতে হবে, বর্তমানে আমরা স্কুল পর্যায়ে কোডিং শুরু করেছি, ভাষা শেখা ছাড়াও নানান ধরণের সার্ভিসের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন, গবেষণা বিষয়বস্তু ইত্যাদি জানতে হলে কলেজের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে বিডিরেনে আনতে হবে। বিডিরেন শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিসরে এর সুবিধা পেয়েছি। উচ্চশিক্ষা ছাড়াও কলেজগুলোতেও বিডিরেনের সুবিধা যুক্ত হচ্ছে।”

প্রফেসর আলমগীর বলেন, “উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। ইউজিসি এ লক্ষ্যে কাজ করছে। কাঠামোগত পরিবর্তনে সরকার বিডিরেন প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে এর ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিডিরেনকে স্বাধীনভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।”

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে ইউজিসি’র উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের একটি কম্পোনেন্ট হিসেবে বিডিরেন- এর যাত্রা হয়। উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ শেষে ২০১৯ সাল থেকে এর কর্মকান্ড একটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *