‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১’ পেলো গ্রামীণফোন

ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি খাতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠান শ্রেণীতে সম্মানজনক জাতীয় ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১’’ পেয়েছে গ্রামীণফোন। গতকাল রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বিআইসিসিতে ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১’’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে টেক সার্ভিস লিডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোনকে এ পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থেকে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানকে পুরস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার, হেড অব ইয়ুথ (স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট) ফারহানা ইসলাম, ইনোভেশন ( ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজির লিড স্পেশালিস্ট) সোহেল রানা প্রমুখ।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার আইসিটি বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে এবং প্রযুক্তির প্রচার ও প্রসারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে আসছে। এ চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সঠিক উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। বিজয়ী উদ্যোগগুলো আমাদের দেশকে ব্যবসাসহ অন্যান্য প্রধান খাতসমূহে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে। সমাজে আপনাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যায়নযোগ্য।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোন তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করাতে বিশ্বাস করে। ফিউচার নেশন ও জিপি অ্যাকসেলেরেটরের মতো পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে তরুণদের আপস্কিল ও রিস্কিল করে ডেমোগ্রাফিক ডিভেডেন্ডের সম্ভাবনাকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিল্পবের সুযোগ উন্মোচনে বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন। ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে সামনে এগিয়ে আসা এবং অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনের অংশ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের স্বীকৃতি বাংলাদেশের ক্ষমতায়নে একসঙ্গে আমাদের তরুণদের ভবিষ্যত উপযোগী দক্ষতায় প্রস্তুত করে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান-ভিত্তিক উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রায় এগিয়ে যেতে আমাদের গভীরভাবে উতসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করবে।