ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত চলছে
ক.বি.ডেস্ক: বেশ কয়েক বছর ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ এর কথা শুনলেও এক্ষেত্রে অনেক দুর্নীতি এবং অনিয়ম হয়েছে। যে পরিমাণ অর্থ এসব প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে তার সুফল পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের জনগণ পায়নি। আমরা দুর্নীতির জায়গাগুলো প্রাথমিকভাবে তদন্ত করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত চলছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুঁই। এই বৈঠককালে আইসিটি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এসব বিষয় জানান।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ডা. মো. মুশফিকুর রহমান, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিনসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, “বন্যার্তদের সঙ্গে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাই বন্যাদুর্গত এলাকায় ইন্টারনেট ফ্রি করে দেয়া হয়েছে, কয়েকটি জেলায় ভিস্যাট স্থাপন করা হয়েছে। মোবাইল টাওয়ারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জেনারেটরের ফুয়েল ফ্রি করে দেয়া হয়েছে এবং সামনে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় ভিস্যাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যাতে যেকোনো দুর্যোগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে, দেশের যুবসমাজ তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শী এবং তারা এই সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী। প্রণোদনা পেলে তরুণরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক ভালো করবে।”
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, “সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের তরুণরা এবং অফিসিয়ালরা যদি এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে তবে তা দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে। এই মুহূর্তে একটি জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে চাই যেখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাচ্ছি যেখানে সবাই তার মত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবে।”