সাম্প্রতিক সংবাদ

জেইএন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান হলেন ড. মো. সবুর খান

ক.বি.ডেস্ক: গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক’র (জেইএন) বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান হলেন ড. মো. সবুর খান। জেইএন আনুষ্ঠানিকভাবে ড. মো. সবুর খানকে বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োাগ দিয়েছে, যা দেশের স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই নিয়োগের মাধ্যমে জেইএন বাংলাদেশ এখন দেশের উদ্যোক্তা, স্টার্টআপ এবং নতুন ব্যবসা উদ্যোগীদের বিশ্বব্যাপী জেইএন গ্লোবালের নেটওয়ার্ক, সম্পদ এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে কাজ করবে।

এই নিয়োগকে জেইএন গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট জনাথন অর্টমানস অনুমোদন করেছেন এবং জেইএন গ্লোবালের সিনিয়র প্রতিনিধি পিটার কোমিভস এখন জেইএন বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মো. সবুর খানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নত করতে ভূমিকা রাখবেন।

গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেইএন) বিশ্বের ২০০টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গবেষণা, নীতি সহায়তা, এবং বিশ্বব্যাপী সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করছে। এর প্রধান উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ উইক, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ এবং গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ কংগ্রেস। জেইএন এর লক্ষ্য হল ব্যবসা শুরু, প্রসার এবং সাফল্যের জন্য জ্ঞান, সম্পদ, বিনিয়োগের সুযোগ এবং বিশ্বব্যাপী সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে সকল পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করা।

ড. মো. সবুর খান একজন খ্যাতনামা উদ্যোক্তা, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সাবেক সভাপতি, শিক্ষাবিদ এবং ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জেইএন বাংলাদেশ-এ তাঁর নেতৃত্ব বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করার নতুন প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে।

ড. মো. সাবুর খান বলেন, “উদ্যোক্তা হওয়া শুধু ব্যবসা করা নয়; এটি একটি সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী মাধ্যম। জেইএন বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা তরুণ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংযুক্ত করব এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করব। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা উদ্যোক্তাবান্ধব দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *