জিপি’র সিলেট ডেটা সেন্টার পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

ক.বি.ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সম্প্রতি গ্রামীণফোনের সিলেট ডেটা সেন্টার পরিদর্শন করেছেন। গত বছর সিলেটে প্রথম টিয়ার-থ্রি মানের ডেটা সেন্টারটি চালু করে গ্রামীণফোন। এই সুপার কোর ডেটা সেন্টার দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের (এমএনও) গড়ে তোলা ডেটা সেন্টারগুলোর মধ্যে বৃহত্তম।
পরিদর্শনকালে টিয়ার থ্রি-রেটেড ডেটা সেন্টারটির দৃষ্টিনন্দন নকশা, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, অগ্রসর মানের পরিচালন ব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত দক্ষ টিম এবং স্বয়ংক্রিয় মনিটরিং টুলসের প্রশংসা করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আব্দুন নাসের খান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)-এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ার মাসুদ এবং গ্রামীণফোনের ডিরেক্টর এবং হেড অব টেকনোলজি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট মো. আব্দুর রায়হান সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রযাত্রায় প্রয়োজন বিশ্বমানের অবকাঠামো। নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও ভবিষ্যত-উপযোগী ডিজিটাল সলিউশনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রসর বাংলাদেশ গড়ার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভাবনার প্রতিফলন এই ডেটা সেন্টারটি।”
আব্দুন নাসের খান বলেন, “বেসরকারি খাতের উদ্যোগে অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের মতো পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় সরকার, যা বাংলাদেশকে বৈশ্বিক ডিজিটাল হাবে পরিণত করার স্বপ্ন পূরণে সহায়ক।”
মো. আবদুর রাইহান বলেন, “এমন একটি অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার যা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল পরিমণ্ডলের চাহিদা পূরণে সহায়ক। বাংলাদেশের টেলিকম খাতে আস্থা, স্থায়িত্ব ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। এই ডেটা সেন্টারটি সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।”
গ্রামীণফোনের সিলেট ডেটা সেন্টারটি একটি কনটেইনার ভিত্তিক মডিউলার ডেটা সেন্টার। সেন্টারটিতে টেকসই পরিবেশের দিকটি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে; রয়েছে কার্যকর জ্বালানি ব্যবস্থাপনা এবং অগ্নি নির্বাপনের জন্য পরিবেশ-বান্ধব নোভেক গ্যাস। সেন্টারটিতে আরও রয়েছে উন্নত পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।