চীনে হুয়াওয়ের ‘গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি প্রটেকশন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার’
ক.বি.ডেস্ক: চীনের ডংগুয়ানে নিজেদের সর্ববৃহত ‘‘গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি প্রটেকশন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার’’ উদ্বোধন করেছে হুয়াওয়ে। নতুন সেন্টার চালু করার পাশাপাশি হুয়াওয়ে এর ‘‘প্রোডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইন’’ প্রকাশ করেছে। এ পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির খাতজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে ক্রেতা, সাপ্লায়ার, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট নির্ধারক সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজের প্রচেষ্টা গ্রহণের বিস্তৃত পদক্ষেপের অংশ।
বিগত বছরগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি ডিজিটালাইজেশন, ফাইভজি ও এআইর মতো নতুন প্রযুক্তি সাইবার-ক্ষেত্রকে আগের চেয়ে বেশি জটিল করে তুলেছে। এক্ষেত্রে, আরও ভূমিকা রেখেছে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানুষের অনলাইনে অনেক বেশি সময় কাটানো। এসব প্রবণতাই সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। এসব বিষয় চিহ্নিতে এবং সাইবার গভর্নেন্স নিয়ে খাত-সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতার আদান-প্রদানে, পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য হুয়াওয়ে ডংগুয়ানে এই সেন্টার চালু করেছে। এ সেন্টারের মাধ্যমে নানা সমাধান প্রদর্শন করা হবে ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করা হবে, যোগাযোগ ও যৌথ উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে এবং সিকিউরিটি টেস্টিং ও ভেরিফিকেশনে সহায়তা প্রদান করা হবে। সেন্টারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্বাধীন তৃতীয় পক্ষ টেস্টিং প্রতিষ্ঠান, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং হুয়াওয়ের ক্রেতা, অংশীদার ও সাপ্লায়ারদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, সাইবার নিরাপত্তা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একীভূত শিল্পখাত হিসেবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন এবং শাসন ব্যবস্থা, মানদণ্ড, প্রযুক্তি ও যাচাইকরণে নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো আদান-প্রদান করতে হবে। সাধারণ মানুষ এবং নিয়ন্ত্রকরা যেনো প্রতিদিনকার ব্যবহৃত পণ্য ও সেবার নিরাপত্তার ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারেন, আমাদের সে কারণ তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে আমরা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সঠিক ভারসাম্য বজায়ে কাজ করতে পারি।
জিএসএমএ’র মহাপরিচালক ম্যাটস গ্র্যানরিড বলেন, ফাইভজি যুগে বিদ্যমান ও নতুন সেবা প্রদান বিশেষভাবে নির্ভর করবে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলোর কানেক্টিভিটি সেবা এবং মূলত নির্ভর করবে এ প্রযুক্তি সুরক্ষা এবং এর ওপরে আস্থার ওপরে। অংশীজনদের সহায়তা করতে জিএসএমএ ফাইভজি সিকিউরিটি নলেজ বেসের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে তারা নেটওয়ার্কের ঝুঁকি বুঝতে পারেন এবং এ ঝুঁকি প্রশমনে কাজ করতে পারেন। অন্যদিকে, শিল্পখাতজুড়ে নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের বিকাশ ও নিরাপত্তার উন্নয়নে শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি অ্যাসুরেন্স ফ্রেমওয়ার্ক এনইএসএএস’ করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি প্রটেকশন অফিসের পরিচালক শন ইয়াং বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা শুধুমাত্র আমাদের মূল সাপ্লায়ারই নয়, বরং সম্পূর্ণ খাতের সামনেই আমাদের সিকিউরিটি বেজলাইন ফ্রেমওয়ার্ক তুলে ধরেছি। আমরা ক্রেতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রযুক্তি সেবাদাতা এবং টেস্টিং প্রতিষ্ঠানসহ সকল অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানাই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন নিয়ে আলোচনা করার ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ শিল্পখাতে পণ্যের নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করতে পারি।
হুয়াওয়ে প্রোডাক্ট সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন সম্পর্কে বিস্তারিত: https://www-file.huawei.com/-/media/corp2020/pdf/trust-center/huawei_product_security_baseline_en.pdf