চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের যাত্রা

ক.বি.ডেস্ক: গত বছরের ৩ আগস্ট পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) পাইলটিং কার্যক্রমের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে চট্টগ্রাম থেকে পূর্ণাঙ্গ বিডিএস কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হলো।
বিডিএস এর মূল উদ্দেশ্য অল্প সময়ে সমগ্র বাংলাদেশে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে তথা ভূ-সম্পদ জরিপ শেষ করা এবং পরবর্তীতে মাঠে গিয়ে সার্ভের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে নিয়ে আসা। এ ছাড়া কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক কারণে বড় ধরণের ভূমির বিচ্যুতি না ঘটলে রিভিশন্যাল সার্ভের প্রয়োজনীয়তাও থাকবে না ডিজিটাল ম্যাপ পার্টিশনের সুবিধার জন্য।
গতকাল রবিবার (৬ আগস্ট) বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) মিলনায়তনে পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিক, বিডিএস কার্যক্রমের ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক জহুরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামের জোনাল সেটলমেন্ট অফিসার আফিয়া আখতার প্রমুখ।
মন্ত্রী সাইফুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামে বিডিএস রোলআউটের মধ্যে দিয়ে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত বিডিএস কার্যক্রমের যাত্রা হলো। প্রায় ১৩০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে প্রথম বিজ্ঞানভিত্তিক জরিপ শুরু হয় চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিডিএস হবে মাঠে গিয়ে পরিচালিত শেষ জরিপ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের খসড়া আইন সংসদে পাঠানো সম্ভব হবে। অবৈধ জমি দখলের দিন ফুরিয়ে আসছে, অবৈধ জমি দখলের জন্য জেল ও জরিমানা- দুটিরই ব্যবস্থা আছে এই আইনে।
সচিব মো. খলিলুর রহমান জানান, বিডিএস কার্যক্রমে একই সঙ্গে অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান পাওয়া যাবে। ১৫ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্ট দাগ সংশোধনের নকশাসহ খতিয়ান তৈরি হবে।
বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস)
বিডিএস-এ অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে, নির্ভুলভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য স্যাটেলাইট, ড্রোন তথা ইউএভি এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সমন্বয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ভূমি জরিপ, ভূমি ব্যবস্থাপনা অফিসের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠাসহ অটোমেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে।
বিডিএস’র পুরো সিস্টেমটি জাতীয় ভূমিসেবা অটোমেশন সিস্টেমের একটি মডিউল হিসাবে ইন্টেগ্রেট করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত জিও-রেফারেন্স-কৃত মৌজা ম্যাপ ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্পে সরবরাহ করা হবে। জমি বিক্রির পর নামজারি খতিয়ান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাপের সীমানা পরিবর্তন হয়ে যাবে।