উদ্যোগ

‘গ্লোবাল স্কলার্স অলিম্পিয়াড ২০২৫’-এর রেজিস্ট্রেশন চলছে

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশু-কিশোরদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত করতে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) যৌথভাবে আয়োজন করেছে বৃহৎ আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিযোগিতা ‘গ্লোবাল স্কলার্স অলিম্পিয়াড ২০২৫’। অলিম্পিয়াডের রেজিস্ট্রেশন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিজিট করতে হবে অফিসিয়াল www.globalscholarsolympiad.org এই ওয়েবসাইটে।

প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা ৬–৯ বছর, ১০–১২ বছর ও ১৩–১৬ বছর বয়সী তিনটি গ্রুপে অংশ নিতে পারবে। প্রতিযোগিতার বিষয়সমূহ হলো বিজ্ঞান, গণিত, পরিবেশ, প্রযুক্তি, ব্রেন গেমস এবং সাধারণ জ্ঞান। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। থাকবে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে স্কুল ক্যাম্পেইন, ডেটা বুটক্যাম্প ও অনলাইন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। আগামী ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফাইনালে প্রতিটি গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন, রানার্স-আপ ও সেকেন্ড রানার্স-আপ নির্বাচিত হবে।

সম্প্রতি ঢাকায় আইইউবি’র ক্যাম্পাসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাত্রা করল এই প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস এর ডিন হাবিব বিন মুজাফফর। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়নস ফর বাংলাদেশ ইঙ্কের সিইও আনিস রহমান। সভাপতিত্ব করেন স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু।

হাবিব বিন মুজাফফর বলেন: “শিক্ষার্থীরা এখানে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান প্রদর্শন করবে না, বরং নতুন ধারণা, সৃজনশীলতা এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করবে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী দিনের বাংলাদেশ ও বিশ্ব গড়ে ওঠবে এই তরুণ প্রজন্মের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তির ওপর ভিত্তি করে।”

আনিস রহমান বলেন, “বিদেশে থেকেও আমি সবসময় লক্ষ্য করি, আমাদের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অসীম। এ ধরনের আন্তর্জাতিক আয়োজন তাদের প্রতিভাকে সঠিকভাবে বিকশিত করার সুযোগ তৈরি করবে। আমি বিশ্বাস করি, নতুন প্রজন্ম একদিন দেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক অঙ্গনেও নিজেদের দক্ষতা ও উদ্ভাবন দিয়ে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করবে।”

আরিফুল হাসান অপু বলেন: “গ্লোবাল স্কলার্স অলিম্পিয়াড শিশুদের কৌতূহল, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে। সাধারণত আমরা দেশের বাইরে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিই, কিন্তু এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশু-কিশোররা বাংলাদেশে আসবে। এর ফলে একটি বৈশ্বিক বন্ধন তৈরি হবে যা তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *