‘গ্লোবাল ফেইম অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ এ সেরা বিপিও অ্যাওয়ার্ড পেলো বাংলাদেশের সাগর কস্তা
ক.বি.ডেস্ক: বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। প্রতিবছর হাজারও মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স বাংলাদেশে আসছে। ২০১৪ সালের সেই ৯,০০০ টাকা বেতনের ছেলে, বাংলাদেশের সাগর কস্তা গত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘‘গ্লোবাল ফেইম অ্যাওয়ার্ড ২০২১’’ এ সেরা বিপিও অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। সাগর কস্তার হাতে ‘সেরা বিপিও অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেন বলিয়ড তারকা বিপাশা বসু। বাংলাদেশের জন্যে এটি একটি বড় পাওয়া।
২৪/৭ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন সাগর কস্তা। ২০১৭ সালে যাত্রা করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথমদিকে একটি পুরাতন মনিটর ও বেসিক পিসি নিয়ে কাজ শুরু করলেও এখন প্রতিষ্ঠানটির আছে দুই হাজার স্কয়ার ফিটের একটি অফিস যেখানে ছেলে মেয়েসহ ২৫ জন কাজ করছেন। এদের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন বয়সের কর্মী রয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৯৪টি প্রজেক্ট ও তিন লাখ মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সাগর কস্তা বলেন, আমি শুধুমাত্র একজন প্রতিনিধি হিসেবে ভারতের কোলকাতায় যাই। এই অ্যাওয়ার্ড এবং অর্জন আমাদের প্রতিষ্ঠানের সবার। ভবিষ্যতে ১০০ লোকবল নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার কারণে রাতের বেলা কাজ করতে হয়, তাই অনেকেই আগ্রহী থাকা স্বত্তেও আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না। যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা আছে এবং বাংলাদেশে এফিটেক লিমিটেড নামক আরেকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা এখন দুই হাজার স্কয়ার ফিটের ভাড়া করা অফিসে বারিধারায় কাজ করলেও স্বপ্ন দেখি পুরো ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এ অফিস পরিচালনা করার। কাজ নিয়ে কমতি আমাদের কখনোও ছিলোনা, তবে ইংরেজিতে পারদর্শী মানুষ ও রাতে কাজ করার মানুষ পাওয়া দুস্কর।
২৪/৭ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্স এর প্রতিষ্ঠাতা সাগর কস্তার বাবা ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ির চালক। সংসারের অভাব-অনটনে এসিসিএতে ভর্তি হয়েও আর এগোতে পারেননি তিনি। তিনি বর্তমানে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সেমিষ্টারের ইংরেজি বিভাগে পড়াশুনা করছেন।
সাগর কস্তা ২০১৪ সালে ডিটএক্স ইন্টারন্যাশনাল কল সেন্টারে রাতে চাকরি করেন হাত-খরচ চালানোর জন্য। এরপরে স্কাইটেক সলিউশনসহ কিছু কল সেন্টারে চাকরি করেন। তার শেষ চাকরি জীবন ছিলো ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। এরপর ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার পর থেকে অফিসে ১৪-১৬ ঘন্টাও কাজ করেছেন, এমনকি এখনো অফিসে পরে থাকেন নতুন কাজ বের করার চেষ্টায়।