গ্রীষ্মে খাবার সতেজ রাখার স্মার্ট উপায়

গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের আবহাওয়া কখনও খুব গরম থাকে, কখনও আর্দ্র, বা আবার কোনও সময় ঝরে অঝোরে বৃষ্টি। আবহাওয়ার ঘন ঘন পরিবর্তন খাবার দ্রুত নষ্ট করে ফেলার পাশাপাশি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণও ঘটাতে পারে। গ্রীষ্মে খাবারের গুণগত মান বজায় রাখতে কার্যকর উপায় হলো আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা। অত্যাধুনিক ফিচারসংবলিত ফ্রিজগুলো কেবল খাবার ঠান্ডাই রাখে না, পাশাপাশি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সতেজও রাখে।
দেশের বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটর মিলছে। এ রেফ্রিজারেটরগুলোয় রয়েছে অল রাউন্ড কুলিং ফিচার, যা খাবার পরিপূর্ণভাবে ঠান্ডা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করবে। এ ফিচার প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা খেয়াল রেখে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দেয় এবং ফ্রিজের প্রতিটি কোণায় কোণায় সমানভাবে ঠান্ডা পৌঁছায়। এর স্পেস ম্যাক্স টেকনোলজির কারণে ফ্রিজের দেয়াল অনেকটা পাতলা হয়ে থাকে এবং ভেতরে বেশ প্রশস্ত জায়গা রাখে, ফলে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ইনসুলেশনের ব্যবহারও এতে কম হয়।
স্যামসাং রেফ্রিজারেটরে রয়েছে ‘অ্যাকটিভ ফ্রেশ ফিল্টার’ যা অ্যাক্টিভেটেড কার্বন লেয়ার ব্যবহার করে ফ্রিজের ৯৯.৯৯ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ভেতরের বাতাসকে জীবাণুমুক্ত রাখে। সেই সঙ্গে এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বলয় ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে দেয়। এ ছাড়াও, রেফ্রিজারেটরে ফ্রেশ ফিল্টার এবং আলাদা চেম্বার থাকায় এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে যায় না, ফলে খাবারের স্বাদও থাকে অটুট। রেফ্রিজারেটর কেনার সময় এতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রযুক্তি আছে কিনা তা দেখে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই প্রযুক্তি মাইক্রোবিয়াল জন্মানোর ঝুঁকি কমিয়ে খাবারকে নিরাপদ রাখে।
অবশ্য, অত্যাধুনিক ফিচার সম্বলিত রেফ্রিজারেটর থাকলেই চলবে না। একই সঙ্গে জানতে হবে খাবার সংরক্ষণের সঠিক উপায়। খাবারের মান ঠিক রাখতে ব্যবহার করতে হবে সঠিক পাত্র। এক্ষেত্রে, অবশ্যই এয়ার টাইট পাত্র নিতে হবে, কারণ এসব পাত্রে বাইরের গন্ধ বা দূষণ ঢুকে খাবারে মিশতে পারে না এবং খাবারে পরিমিত আর্দ্রতা বজায় রাখে। কাঁচা মাছ মাংস সংরক্ষণের জন্য অবশ্যই সিল করা কনটেইনার বেছে নিতে হবে, এরপর তা নিচের তাকে রাখতে হবে, যাতে এই কাঁচা মাছ মাংসের পানি লিকেজ হয়ে অন্য খাবারে না মিশে।
রেফ্রিজারেটর সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। ভেতরে খাবারের টুকরো পড়ে থাকলে, তা ব্যাকটেরিয়ার জন্মস্থানে পরিণত হয় এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। আর এমন জায়গায় খাবার রাখলে তা থেকে নানা অসুখের সৃষ্টি হতে পারে। তা্ই, প্রতি সপ্তাহে একটি হালকা জীবাণুনাশক দিয়ে ফ্রিজের তাকগুলো পরিষ্কার করতে হবে এবং নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে যে ফ্রিজে কোন মেয়াদোত্তীর্ণ বা নষ্ট খাবার আছে কিনা, থাকলে তা দ্রুত ফেলে দিতে হবে। এতে করে ফ্রিজের ভেতর পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় থাকবে।
সর্বোপরি ফ্রিজে খাবার রাখার জন্য সঠিক পাত্র নির্বাচন, নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার রাখা এবং আধুনিক আকর্ষণীয় ফিচারযুক্ত ফ্রিজ ব্যবহার করে যেকোন পরিবারই খাবারের সতেজতা এবং পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। আমাদের জন্য এসব অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটর গ্রীষ্মকাল কিংবা পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় সঠিকভাবে খাবার সংরক্ষণের এক অনন্য সহায়ক। মনে রাখবেন, একটু যত্নই অনেক ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারে এবং খাবারের পুষ্টি, স্বাদ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।