গ্রামীণফোনের তিন বিভাগে নতুন প্রধান
ক.বি.ডেস্ক: গ্রামীণফোনের তিন বিভাগে নতুন প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (সিএইচআরও) হিসেবে সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) হিসেবে নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন এবং হেড অব কমিউনিকেশনস হিসেবে শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামীণফোনে যোগদান করেন। সৈয়দা তাহিয়া হোসেন এবং নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন গ্রামীণফোনের ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকবেন। অন্যদিকে, এক্সটেন্ডেড ম্যানেজমেন্ট টিমের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে মানবসম্পদ, তথ্যপ্রযুক্তি ও করপোরেট কমিউনিকেশনস এর ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সিএইচআরও হিসাবে সৈয়দা তাহিয়া হোসেন আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি ঘরে তুলতে, কর্মী সংযোগকে সামনের এগিয়ে নিতে ও বৈচিত্রপূর্ণ পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ভবিষ্যতে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিরঞ্জনের দক্ষতা আমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে ডিজিটাল রূপান্তর, সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবো। একটি অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি বিনির্মানে এবং প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের করপোরেট ন্যারেটিভকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কমিউনিকেশনস টিমে শারফুদ্দিনের যোগদান অনন্য ভূমিকা রাখবে।
সৈয়দা তাহিয়া হোসেন
বিভিন্ন শিল্পখাত ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে ২৬ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৬ বছর তিনি শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রূপান্তর, সিবিএ এনভায়রনমেন্ট, মানবসম্পদ কার্যাবলী ও দল ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা রয়েছে। হাই-পারফরমেন্স কালচার গঠনের লক্ষ্যে কার্যকরী কৌশল গঠন ও বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। বিগ ডেটা এবং প্রেডিক্টিভ অ্যানালিসিসের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থেকে তিনি তথ্য-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন।
তিনি পারফেটি ভ্যান মেলে, ব্র্যাক বাংলাদেশ, সিটি এন এ, ইউনিলিভার ও নেসলে’র মত নামকরা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তিনি সিএইচএস অ্যালায়েন্স আয়োজিত হিউম্যানিটারিয়ান এইচআর কনফারেন্সে প্যানেল সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও, তিনি সাজিদা ফাউন্ডেশনের অ্যান্টি-সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট কমিটি’র সাধারণ পরিষদের অন্যতম অবৈতনিক সদস্য। তিনি বাংলাদেশ থেকে ব্যাচেলর অব কমার্স এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল কমপিউটার সেন্টার থেকে ডিপ্লোমা ইন কমপিউটার স্টাডিজ সম্পন্ন করেছেন।
নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন
বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানে আইটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা ও নেতৃত্বদানে নিরঞ্জন শ্রীনিবাসনের ২০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি টেক মাহিন্দ্রা মালয়েশিয়া, ওরিডো মিয়ানমার এবং টেলিনর মিয়ানমারের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আইটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও তার মোবাইল আর্থিক সেবা, ডিজিটাল অ্যাপ ও সেবা এবং বিজনেস সাপোর্ট সিস্টেম নিয়ে কাজের বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাধান উন্নয়নের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সল্যুশন আর্কিটেকচার ও এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমের কনসেপচুয়ালাইজেশনে বিশেষভাবে দক্ষ। এ ছাড়াও, নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে তিনি দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন কোয়েম্বাটুরের ভারাথিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপিউটার টেকনোলজিতে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী
শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর টেলিযোগাযোগ, মিডিয়া, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ একাধিক শিল্পখাতে ২০ বছরেরও বেশি কাজের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ছাড়াও বিপণন, মার্কেটিং, জনসংযোগ এবং সেলস ও ডিস্ট্রিবিউশনে রয়েছে তার বিস্তর অভিজ্ঞতা।
গ্রামীণফোনে যোগদানের আগে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, বাংলালিংক, বেঙ্গল মিট এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা বিষয়ে এম.কম এবং বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন।