উদ্যোগ

গ্রামীণফোন কর্মীদের গ্রিন উইক ২০২২ পালন

ক.বি.ডেস্ক: রিডিউস, রিইউজ ও রিসাইকেলর মাধ্যমে প্রতিদিনের কাজে ‘গ্রিন প্লেজ’ গ্রহণ এবং এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে গত ১৬ থেকে ১৯ মে ‘‘গ্রামীণফোন গ্রিন উইক ২০২২’’ পালন করেছে গ্রামীণফোন। মানুষের দৈনন্দিন কাজ আর অসচেতন আচরণ কীভাবে পৃথিবী এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সে ব্যাপারে গ্রামীণফোনের কর্মীদের জানাতে এবং তাদের পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনে উতসাহিত করতেই ‘গ্রিন উইক’ আয়োজন করা হয়।   

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে ১৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষের বাংলাদেশ। এ পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের আর্থ-সামাজিক জীবনে। আর এ ঝুঁকি বিবেচনা করেই টেলিনরের সঙ্গে যৌথভাবে গ্রামীণফোন এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে। টেলিনরের ইভিপি, চিফ পিপল ও সাসটেইনেবিলিটি অফিসার সিসিলি হিউচ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান এবং প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেনের বৃক্ষরোপণ করার মধ্য দিয়ে গ্রিন উইক শুরু হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দায়িত্বশীলভাবে কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা পরিবেশ ইকোসিস্টেম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যার যার জায়গা থেকে কাজ করার এখনই সময় বলে তারা বিশ্বাস করেন।

ইয়াসির আজমান বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি সাত জন বাংলাদেশির একজন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গৃহহীন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কাজের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো ধারাবাহিকভাবে উপেক্ষা করার কারণে এটি আমাদের জলবায়ুর ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। যদি এ বিষয়গুলোর সমাধান না করা হয়, তাহলে এটি পরিবেশজনিত ইকোসিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে। ডিজিটালাইজেশনের কারণে অনেক ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজারে আসছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুত আর ডেটার ব্যবহারও। কিন্তু আমাদের একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়; তবে, আমরা সবাই একসঙ্গে পৃথিবীকে বদলে দিতে পারি।

সিসিলি হিউচ বলেন, প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে এবং সাপ্লায়ারদের সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞান-ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছি। জাতীয় গ্রিডে নবায়নযগ্য জ্বালানি ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। আর নতুন দিনের সূচনায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোনের কর্মীরা এ সপ্তাহটি উদযাপন করেন। শুধুমাত্র পুনঃব্যবহারযোগ্য শপিং ব্যাগের ব্যবহার, বিদ্যুত সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রয়োজন ছাড়া বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার না করা, মাংস খাওয়ার পরিমাণ ও খাবারের অপচয় হ্রাস করা এবং বৃক্ষরোপণ। কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে জিপি হাউজে একটি বুথ স্থাপন করা হয়; যেখান থেকে গ্রামীণফোনের কর্মীরা সপ্তাহজুড়ে তাদের পছন্দানুযায়ী চারাগাছ নেন। এ ছাড়াও গ্রামীণফোনের কর্মীরা মিট ফ্রি ডে ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি ডে পালন করেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *