কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট ও ডিজিটাল কসাই

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা): কোরবানিকে ঘিরে যেমন বিরাট গরু-ছাগলের হাটের পসরা বসে সারাদেশে, তেমনি পিছিয়ে নেই অনলাইনে গরু-ছাগল কেনাবেচার মাধ্যমগুলোও। হাটে গিয়ে কোরবানির পশু কেনার ঝামেলা এড়াতে অনেকে ঝুঁকছেন অনলাইনে কোরবানির পশু কেনায়। তাই সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে অনলাইন কোরবানির হাট। অনলাইন শপের মাধ্যমে ঘরে বসে খুব সহজেই কোরবানির পশু কেনাবেচা করা যায় ডিজিটাল হাটে।
ঈদের কয়েকদিন আগে কিংবা ক্রেতার পছন্দমতো সময়ে কোরবানির পশু বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে অনলাইনে হাট বসিয়েছে ই-কমার্স সাইটগুলো। ক্রেতা আকর্ষণের জন্য কোরবানির পশুর নানা ভঙ্গির ছবি জুম ইন, জুম আউট করে খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে অধিকাংশ সাইটে। ক্রেতাদের সুবিধার জন্য পশুর বয়স, দাঁতের সংখ্যা, ওজন, চামড়ার রং, জাত, জন্মস্থান এবং প্রাপ্তিস্থানও দেয়া থাকছে।

বিক্রেতারা নির্ধারিত পশুর ছবিসহ ওজন, রং, মূল্য ও বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দিয়ে থাকেন ই-কমার্স সাইটে। এরপর পছন্দের পশু সিলেক্ট করে তা ঘরে বসেই ক্রয় করেন ক্রেতারা। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশে ডিজিটাল হাট, ডিজিটাল কসাই এবং অনলাইনে কোরবানির শরিক হওয়ার ব্যবস্থা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হাট, ডিজিটাল কসাই এবং অনলাইনে কোরবানির শরিক হওয়ার ব্যবস্থা করছে। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান….
ডিজিটাল হাট
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এটি একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এখানে কোরবানির পশু কেনা ও ডেলিভারি নেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক ছোট-বড় অনলাইন শপ এই হাটের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
বেঙ্গল মিট
বেঙ্গল মিট কোরবানির পশু সরবরাহ এবং মাংস প্রক্রিয়াকরণের জন্য অন্যতম বিশ্বস্ত নাম। তারা বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে অনলাইন কোরবানির হাট পরিচালনা করছে। তাদের ভাগে কোরবানির ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয়। তারা গরু ৭ ভাগে বিক্রি করে এবং কোরবানির পর প্রক্রিয়াজাত মাংস গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়।
প্রোটিন মার্কেট
২০২১ সাল থেকে প্রোটিন মার্কেট ঢাকায় শরিকে বা ভাগে কোরবানির একটি পূর্ণাঙ্গ সার্ভিস চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২০০ গরুর কোরবানি সার্ভিস পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। ভাগে কোরবানির প্যাকেজের মূল্য শুরু হয়েছে ১৫,০০০ টাকা থেকে, যা পশুর লাইভ ওজন অনুযায়ী ২৬,৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। গরুর জন্য সার্ভিস চার্জ নির্ধারিত হয় সাইজ অনুযায়ী। গ্রাহকরা চাইলে পুরো গরু বা শরিক আকারে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কোরবানির পশু কেনা, শরিয়াহ মোতাবেক জবাই, স্বাস্থ্যসম্মত মাংস প্রসেসিং, ফুডগ্রেড ব্যাগে প্যাকিং এবং নির্ধারিত সময়ে অফিস থেকে সরবরাহ সবকিছুই এই সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত।
বিক্রয় ডট কম
কয়েক বছর ধরেই কোরবানির ঈদের আগে কোরবানির পশুর হাট বসছে অনলাইনে বেচাকেনার ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট বিক্রয় ডট কমে। সাইটটিতে গরুর পাশাপাশি নানা রঙের এবং ধরনের ছাগল ও খাসি বিক্রি হচ্ছে। ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখের অধিক মূল্যের গরু মিলছে। এ ছাড়া ১৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ছাগল। মানুষের সাধ্য অনুযায়ী কোরবানির পশু তাদের অনলাইন সাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
সেতারা ফার্ম
সেতারা ফার্ম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু (গরু, খাসি) বিক্রি করে এবং কোরবানিসহ পশু ডেলিভারিরও ব্যবস্থা করে। তাদের ওয়েবসাইটে পশুর ওজন ও মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
দারাজ: দেশের অন্যতম বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজও কোরবানির ঈদে পশুর অর্ডার নেয়া এবং মাংস ডেলিভারির ব্যবস্থা করে থাকে। প্রিয়শপডটকম: প্রিয়শপডটকমও অনলাইনে কোরবানির পশু এবং ভাগের কোরবানির ব্যবস্থা করছে। বিক্রমপুর গরুর হাট: এটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে খামারিরা সরাসরি তাদের পশু বিক্রি করতে পারেন।
এ ছাড়াও, আরও অনেক ছোট-বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, খামার এবং ফেসবুক ভিত্তিক পেজ ও গ্রুপ রয়েছে যারা কোরবানির ঈদে ডিজিটাল হাট, ডিজিটাল কসাই এবং শরিক হওয়ার ব্যবস্থা প্রদান করে। প্রতি বছরই এই সংখ্যা বাড়ছে এবং প্রতিযোগিতার কারণে সেবার মানও উন্নত হচ্ছে।
দেশের ই-কমার্স খাতে এর ভূমিকা, গুরুত্ব, প্রভাব এবং গ্রহণযোগ্যতার কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো…
ভূমিকা ও গুরুত্ব
সহজ ও সুবিধাজনক কেনাকাটা: কোরবানির পশু কিনতে হাটে যাওয়া, ভিড় ঠেলে পছন্দসই পশু খুঁজে বের করা, এবং দীর্ঘ সময় ব্যয় করা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য। ডিজিটাল হাট এই প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে দিয়েছে। ঘরে বসেই পশুর ছবি, ভিডিও, ওজন, মূল্য ও অন্যান্য তথ্য দেখে কেনা সম্ভব হচ্ছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা: বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনলাইন কোরবানির প্ল্যাটফর্মগুলো দারুণ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এটি জনসমাগম এড়াতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণ ঝুঁকি কমায়।
সময় ও শ্রম সাশ্রয়: কর্মজীবী মানুষ এবং শহরের ব্যস্ত জীবনে যাদের পর্যাপ্ত সময় নেই, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা। পশু কেনা থেকে শুরু করে জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ পর্যন্ত পুরও প্রক্রিয়াটি একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়, যা সময় ও শ্রম সাশ্রয় করে।
প্রবাসীদের জন্য সুবিধা: বিদেশে অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশি দেশে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানি দিতে চান। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের জন্য এই প্রক্রিয়াটিকে সহজ করেছে। তারা বিদেশে বসেই কোরবানির পশু বুক করতে পারছেন এবং তাদের পরিবারকে মাংস পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারছেন।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পশুর স্বাস্থ্য, ওজন এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করে। কিছু প্ল্যাটফর্মে পশুর লাইভ ওজন দেখানো এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে পশু দেখানোর ব্যবস্থাও থাকে, যা ক্রেতাদের আস্থা বাড়ায়।
দক্ষ কসাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ: ডিজিটাল কসাই সার্ভিস এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো দক্ষ কসাই সরবরাহ করে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিংয়ের সুবিধা দেয়। এতে ক্রেতারা মানসম্পন্ন মাংস পান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও সুবিধা হয়।
গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রভাব: অনলাইন হাটের মাধ্যমে খামারিরা সরাসরি ক্রেতাদের কাছে পশু বিক্রি করতে পারছেন, যা তাদের ন্যায্যমূল্য পেতে সাহায্য করছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ই-কমার্স খাতের বিকাশ: কোরবানির অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের বিকাশে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি প্রমাণ করে যে ই-কমার্স শুধু দৈনন্দিন পণ্য বা ইলেকট্রনিক্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশেষ সেবা এবং মৌসুমি চাহিদাও পূরণ করতে পারে।

প্রভাব
ঐতিহ্যবাহী হাটের ওপর চাপ কমা: যদিও ঐতিহ্যবাহী পশুর হাটের গুরুত্ব এখনও রয়েছে, তবে অনলাইন হাটের জনপ্রিয়তা বাড়ায় ঐতিহ্যবাহী হাটের ওপর চাপ কিছুটা কমেছে। এটি যানজট, ভিড় এবং পরিবেশ দূষণ কমাতেও সাহায্য করে।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরি: ডিজিটাল হাট এবং কোরবানির সার্ভিসগুলো নতুন নতুন ই-কমার্স উদ্যোক্তা তৈরি করছে, যারা এই মৌসুমি চাহিদাকে কেন্দ্র করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার: অনলাইন কোরবানির মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার বাড়ছে, যা দেশের ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করছে।
কোরবানির ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ: সিটি কর্পোরেশন এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলো ডিজিটাল হাটের উদ্যোগে সহযোগিতা করছে, যা কোরবানির পুরও ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংগঠিত করতে সাহায্য করছে।
গ্রহণযোগ্যতার কারণ
নগর জীবনযাত্রার চাপ: শহরের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষের সময় কম, হাটে গিয়ে পশু কেনা ও কসাই খুঁজে বের করার ঝামেলা এড়াতে তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর দিকে ঝুঁকছেন।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি: বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, যা অনলাইন কেনাকাটাকে সহজলভ্য করেছে।
নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা: মহামারীর কারণে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে এবং তারা নিরাপদ উপায়ে কোরবানি দিতে আগ্রহী হচ্ছেন।
বিশ্বস্ততা ও সুবিধার প্রচার: প্রোটিন মার্কেট, সেতারা ফার্মের মতো প্রতিষ্ঠিত নামগুলো তাদের নির্ভরযোগ্যতা এবং উন্নত সেবা দিয়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
শরিকের সহজ ব্যবস্থা: যারা একা কোরবানি দিতে সক্ষম নন বা শরিক খুঁজে পান না, তাদের জন্য অনলাইনে শরিক হওয়ার ব্যবস্থা একটি বড় সুবিধা। এতে কোরবানির অর্থ ও শ্রম ভাগাভাগি করা সহজ হয়।
বাংলাদেশে ডিজিটাল হাট, ডিজিটাল কসাই এবং অনলাইনে কোরবানির শরিক হওয়ার ব্যবস্থার বাজার আকার প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও এর সুনির্দিষ্ট পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন, তবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি ধারণা দেয়া সম্ভব।
মোট কোরবানির পশুর সংখ্যা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি থেকে ১ কোটি ৫ লাখের বেশি গবাদিপশু কোরবানি হয়ে থাকে। ২০২২ সালে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে। ২০২৩ সালে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়েছে। ২০২৪ সালে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেচাকেনা ও বাজার আকার
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশুর বেচাকেনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও এটি মোট কোরবানির একটি ছোট অংশ। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো পরিচালিত ডিজিটাল হাটে ২৭ হাজার পশু বিক্রি হয়েছিল। ২০২১ সালে ডিজিটাল হাটে ৩ লাখ ৮৭ হাজার পশু বিক্রি হয়েছিল। ২০২৩ সালে ডিজিটাল হাটে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬টি পশু বিক্রি হয়েছিল, যার বাজার মূল্য ছিল ৪ হাজার ২৩১ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ৫ লাখ পঞ্চাশ হাজার গবাদিপশু বিক্রি হয়েছিল, যার মূল্য ছিল ৪ হাজার ৭৪০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
এই সংখ্যাগুলো শুধু সরকারি ডিজিটাল হাটের (যেমন- ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট) পরিসংখ্যান। এর বাইরে বিভিন্ন ব্যক্তিগত খামারি, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং ফেসবুকভিত্তিক পেজ ও গ্রুপগুলো থেকেও প্রচুর পশু অনলাইনে বেচাকেনা হয়, যার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হয়, এই সংখ্যাগুলো উল্লিখিত সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়েও বেশি হবে।
বাজার আকার
অনলাইনে বেচাকেনা হওয়া পশুর মূল্য এবং সংখ্যা থেকে ডিজিটাল হাটের বাজার আকার সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। যেহেতু ২০২৩ সালে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং ২০২৪ সালে প্রায় ৪ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের পশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে, তাই বলা যায় এই খাতের বাজার আকার ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে এবং প্রতি বছর তা বাড়ছে।
যদিও মোট কোরবানির পশুর তুলনায় অনলাইনে বেচাকেনার পরিমাণ এখনও তুলনামূলকভাবে কম, তবে এর বৃদ্ধির হার বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। স্বাস্থ্য সচেতনতা, সময় সাশ্রয়, এবং প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে এই খাতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। আগামী বছরগুলোতে এর বাজার আকার এবং পশুর বেচাকেনার সংখ্যা আরও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
সব মিলিয়ে, ডিজিটাল হাট, ডিজিটাল কসাই এবং অনলাইনে কোরবানির শরিক হওয়ার ব্যবস্থা বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এটি শুধু কোরবানির প্রক্রিয়াকে সহজ করেনি, বরং ডিজিটাল রুপান্তর ধারণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
লেখক: মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা)- প্রতিষ্ঠাতা কিনলে ডটকম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ই-ক্যাব