কোন ভুল তথ্য, গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন অসহনশীল হয়ে না যায়: প্রতিমন্ত্রী পলক

ক.বি.ডেস্ক: কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ফলে সারাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী। বর্তমান এই অবস্থায় তৃতীয় কোন পক্ষ যেন শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত করতে ও সুযোগ নিতে না পারে। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ভুল তথ্য, গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন অসহনশীল হয়ে না যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু দেখে যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ বুধবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আইসিটি বিভাগ এবং ইইউ প্রতিনিধি টিম এর যৌথ উদ্যোগে সাইবার-নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, কৌশল এবং ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশনা নিয়ে “সাইবার-সিকিউরিটি সিম্পোজিয়াম: বাংলাদেশ’স পাথ ফরওয়ার্ড” বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আমরা মানুষের মুক্ত বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা সকলের বক্তব্য, মন্তব্য ও আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই বিবেচনা করবেন। অনুরোধ করবো, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ধৈর্যশীল ও সহনশীল হয় এবং সবার আগে আমাদের নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সাইবার নিরাপত্তার সমপরিমাণ ঝুঁকি রয়েছে। আমরা কেউই সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে শতভাগ নিরাপদ নয়। কারণ, ইন্টারনেটের সর্বত্রই আমাদের ফুটপ্রিন্ট ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা আছে। তাই, সাইবার সিকিউরিটি এখন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশের ইস্যু নয়, সাইবার সিকিউরিটি একটা গ্লোবাল ইস্যু। একইসঙ্গে ডিজিটাল লিটারেসি ও এআই লিটারেসি নিয়েও আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কারণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যসহ এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।”