সাম্প্রতিক সংবাদ

কাল শুরু হচ্ছে বিইএআর সম্মেলন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫

ক.বি.ডেস্ক: ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে কাল থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপি (১৬-১৭ জুলাই) ‘বায়োটিক ইলেকট্রনিক্স এআই অ্যান্ড রোবটিকস (বিইএআর)’ সম্মেলন এবং ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫’। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সবচেয়ে বড় এই সম্মেলন এবং সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম যৌথভাবে আয়োজন করছে আইসিটি বিভাগ, এজ প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল(বিসিসি)। সহায়তায় রয়েছে বিশ্বব্যাংক।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে বিইএআর সম্মেলন এবং সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম- প্রাক্কালে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিইএআর সম্মেলন এবং সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়ামের আহ্বায়ক পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসাইন, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মো. মেহেদী হাসান, গ্লোবাল ফাউন্ডারসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাশেদ সহ মন্ত্রণালয় বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।

আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “সরকার-সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া এবং প্রবাসী মেধাবীদের সমন্বয়ে এমন আয়োজন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম। সব ধরনের পলিসিগত সহায়তা প্রদানে আইসিটি ডিভিশন তথা বর্তমান সরকার প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আমরা ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর পলিসি’র খসড়া প্রস্তুত করেছি এবং শীঘ্রই চূড়ান্ত করে সবার সামনে তুলে ধরা হবে। দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলকে এই আয়োজনে যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে তাঁরা আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন।”

তিনি আরও বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের আমরা নানাভাবে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারকদের জন্য ৫-১০% ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার প্রস্তাব রেখেছি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের কাছে। মাত্র ২০ হাজার দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারবে বলে মনে করছি।”

আহ্বায়ক মো. মোস্তফা হোসাইন বলেন, “জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে এই ধরনের আয়োজন আমাদের সত্যি নতুন করে স্বপ্ন দেখায়। এই আয়োজনের মাধ্যমে সারাবিশ্বের সামনে আমরা আমাদের মেধা, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ পাবো। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো বায়োটেকনোলজি, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক্স- এর গুরুত্বপূর্ণ খাতের সম্ভাবনাকে নতুন করে খুঁজে দেখা; তরুণ মেধার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং এর মাধ্যমে দেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেয়া। এবার বিইএআর সম্মেলনের পাশাপাশি একটি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে, যা বাংলাদেশের জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রবেশের পথ সুগম করবে এবং দেশকে ডিপ টেকনোলজির একটা গ্লোবাল হাব হিসেবে পরিচিত করবে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *