উদ্যোগ

কমপিউটার কি-বোর্ডের মেলা!

ক.বি.ডেস্ক: কি-বোর্ড নিয়ে অন্যরকম আয়োজন কমপিউটার কি-বোর্ডের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। টেবিল জুড়ে সাজানো নানা রঙ ও ঢঙের কি-বোর্ড। দোকান থেকে কেনা প্রি বিল্ট কি-বোর্ডের সঙ্গে মিলবে না এসব কি-বোর্ড। কারণ এসব কি-বোর্ড সাজিয়েছেন কি-বোর্ডের মালিক নিজেই।

কার কি-বোর্ড কত সুন্দরভাবে সাজানো ও গোছানো অর্থাৎ কাস্টোমাইজ করা, তার ওপর ভিত্তি করে বিসিএস কমপিউটার সিটিতে আয়োজিত হয়েছে ‘কিব শোডাউন’। সম্প্রতি ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনে অবস্থিত বিসিএস কমপিউটার সিটিতে অনুষ্ঠিত ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২৩’ এ গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) কিব শোডাউনের আয়োজন করে মেকাবার্ডস বিডি এবং পিসি বিল্ডার গ্রুপ।

৪০ জন নিজেদের কাস্টোমাইজ কি-বোর্ড নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ছিল ছয় হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল চার হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ছিল একটি বেয়ারবোনস কিবোর্ড কিট। দুইটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে কি-বোর্ডগুলোকে যাচাই করা হয়। যার একটি হচ্ছে কি-বোর্ডগুলো দেখতে কেমন সুন্দর আর কাজ করার সময় কতটা ভালো শব্দ করে।

কি- বোর্ড কাস্টোমাইজ করা শখের মানুষদের নিয়ে ২০২১ সালে গড়ে ওঠে মেকাবোর্ডস বিডি। গত বছর ‘কিব শোডাউন’ এর আয়োজন করে মেকাবোর্ডস। এর ফেসবুক পেজ অ্যাডমিন সামিউল আলম বলেন, ‘মেকাবোর্ডস বিডি এর সদস্যদের সেরা কি-বোর্ড কেনার এবং কি-বোর্ড তৈরি করতে পরামর্শ দেয়।’

মেকাবোর্ডস বিডি এর সঙ্গে জড়িত ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (ইউআইটিএস) এর তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের প্রধান ড. ইফাত আল বাকী বলেন, যান্ত্রিক কি-বোর্ডের শখ প্রযুক্তিপ্রেমিদের জন্য একটি লেগো তৈরির শখের মতো। যারা গেমিং, কনটেন্ট রাইটিং এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো কমপিউটার ভিত্তিক কাজগুলোতে বেশি সময় ব্যয় করেন তাদের জন্য একটি ভাল টাইপিং অনুভূতি পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন জুবায়ের ইউ. হায়দার, দ্বিতীয় হয়েছেন ভুবন আহমেদ ও তৃতীয় হয়েছেন যৌথভাবে অরনিব আহমেদ ও মাহমুজ সাফিন।

প্রথম স্থান অধিকারী জুবায়ের বলেন, ‘কি-বোর্ডটিকে সাজানোর কাজটি ছিল বেশ কঠিন। যারা এ নিয়ে কাজ করেন তাঁদের কাছ থেকে ধারণা নিয়েছি। চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার।

প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ভুবন বলেন, ‘আমি অনেক সমমনা লোকের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। এই ইভেন্টে এমন কমিউনিটির সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি যেটি বছর ধরে কি-বোর্ডকে কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠেছে। আমি খুব খুশি।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *