‘কপ২৯’ সম্মেলনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৯তম সম্মেলনে (কপ২৯) অংশগ্রহণ করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানো এবং জনজীবনে আবহাওয়ার চরম প্রভাব পড়ায় বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ীক মহল এবং সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের আলোচনার প্রেক্ষাপটে একটি বাস্তবসম্মত ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আজারবাইজানের বাকু’তে চলতি বছরের ১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। ডিআইইউ’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসেইন, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সামিহা খান এবং ফাতেমা তুজ জোহরা সাদিয়া নামের একজন শিক্ষার্থী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ এবং ডিআইইউ’র প্রতিনিধি হিসেবে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
ডিআইইউ এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রমে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এসডিজি) গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান ও বাস্তবমুখী পাঠ্যসূচী তৈরির মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা সফলে অংশীদারিত্ব করে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তা ছাড়া গবেষণার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তি, জলবায়ু সহনশীলতা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা এবং প্রকৌশলের মতো গুরুত্বপূর্ণখাতে কাজ করে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এ লক্ষ্যে শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই ১ হাজার ১৩৯টি স্কোপাস-ইনডেক্সড গবেষণা প্রকাশ করেছে ডিআইইউ, যা গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সামগ্রিকভাবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তিকে সমাধান হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং স্থানীয় কমিউনিটির মধ্যেও জলবায়ু সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে ডিআইইউ।
সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘ইকোক্যাশ গ্লোবাল ট্রেড হাব- টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল লিভিং কমিউনিটি’ শীর্ষক সেশনে ডিআইইউ’র প্রভাষক সামিহা খান বলেন, বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বেই জলবায়ু সংকট এখন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তাই তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি ক্যাম্পাসের আশেপাশের পরিবেশের সংরক্ষণে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে আমাদের এই সচেতনতা কার্যক্রম শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আমরা আশা করি- এই কাজ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভ্যাসে পরিণত হবে এবং বাস্তবমুখী সমাধানের পথে এগিয়ে যাবো সবাই।
এই সম্মেলন থেকে- গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষা করার বাস্তবসম্মত সমাধান বেরিয়ে আসবে এমনটাই আশা করছে জাতিসংঘ। তা ছাড়া প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যেক দেশের হালানাগাদ জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনাও এখানে উপস্থাপন করা হবে, যা আগামী ২০২৫ সালের শুরু থেকেই কার্যকর করা হবে।