এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ দুটি পুরষ্কার জিতেছে গ্রামীণফোন

ক.বি.ডেস্ক: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণে অসামান্য অবদান এবং অনন্য টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করায় সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত “এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” -এ দুটি পুরষ্কার জিতেছে দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন। পুরষ্কার দুটি হচ্ছে ‘ইএসজি ইনিশিয়েটিভ অব দ্যা ইয়ার-বাংলাদেশ’ ও ‘মোবাইল অপারেটর অব দ্যা ইয়ার-বাংলাদেশ’। গ্রামীণফোনের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার (আইডিএস) এবং টেলিযোগাযোগ শিল্পে সেরা সেবা ধরে রাখার জন্য এ দুটি স্বীকৃতি পেয়েছে অপারেটরটি।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলোকে স্বীকৃতি দেয় এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ডস। এই পুরস্কারগুলো সেই কোম্পানিগুলোকে দেয়া হয় যারা টেলিযোগাযোগ শিল্পে অগ্রগতি ও পরিবর্তন আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। টেলিযোগাযোগ খাতে উৎকর্ষতার মানদণ্ড নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ডস।
বিস্তৃত নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নিয়ে দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে গ্রামীণফোন। এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি। অপারেটরটির টাওয়ারের সংখ্যা ২২ হাজারের বেশি। দেশের ৯৫ শতাংশের বেশি এলাকায় নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে অপারেটরটি। একটি উদ্ভাবন-বান্ধব কোম্পানি হিসেবে, গ্রামীণফোন ২০২২ সাথে দেশে প্রথম ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছিল। ‘আলো’র মাধ্যমে প্রদান করছে ইউনিফায়েড আইওটি সলিউশন এবং মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে প্রদান করছে নিরবচ্ছিন্ন ও সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান বলেন, “আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে ইন্টারনেট ও সংযোগের শক্তির ওপর বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নিতে এবং গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানে আমরা সংকল্পবদ্ধ। এই স্বীকৃতিগুলো গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্ভাবন, স্থায়ীত্ব এবং সবার জন্য সংযোগ- এসব বিষয়ে আমাদের একাগ্রতার প্রতিফলন। বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকেন তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাব আমরা।”