এমআইএসটি’র একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন
ক.বি.ডেস্ক: মিলিটারী ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধাসহ ৪টি ভবন নির্মিত হয়েছে। নতুন নির্মিত ভবনের মধ্যে রয়েছে ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩ ও ৪, অ্যাডমিন টাওয়ার এবং হল অব এফএএমই। এমআইএসটি’র প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার বিল্ডিং এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। ফ্যাকাল্টি টাওয়ারগুলোতে সর্বাধুনিক গবেষণাগারও রয়েছে। যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে।
হল অব ফেমের দেয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটি’র প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এপর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলকসমূহ, সকল স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর উল্লেখযোগ্য সাফল্য। যাত্রা করল এমআইএসটি’র পেট্রোলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব। যা বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত হয় সাইবার রেঞ্জ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এমআইএসটি’র একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন করেন। এমআইএসটি’র প্রাক্তন কমান্ড্যান্টবৃন্দ, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররাসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৯ সালে নতুন কোন অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াই সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন ছাত্র অফিসার নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে এমআইএসটি যাত্রা করে। বর্তমানে ৪টি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে মোট ২ হাজার ৯১৭ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এমআইএসটিতে ৮টি বিভাগে এমএসসি, ৩টি বিভাগে এমফিল এবং ৭ টি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে।
নতুন উদ্বোধনকৃত প্রশাসনিক ভবনে ৪৫ হাজার বর্গফুটের এমআইএসটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি রয়েছে। লাইব্রেরির একটি অংশে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রায় চার হাজার বই সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। যাতে আগামী প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়াররা জাতির জনকের জীবন-কর্মকান্ড এবং স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে। একই সঙ্গে লাইব্রেরিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ‘শেখ রাসেল আঙ্গিনা’। যা শেখ রাসেল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জানতে সাহায্য করবে।