সাম্প্রতিক সংবাদ

এনডিসি এবং ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার সম্প্রসারণের ঘোষণা

ক.বি.ডেস্ক: আগামী ছয় মাসের মধ্যে ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (এনডিসি) এবং ডিজিটাল রিকভারি ডেটা সেন্টারের সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। পার্কের অব্যবহৃত ফ্যাসিলিটিতে যশোরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হ্যাকাথন, আইডিয়াথন, স্টার্টআপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম সহ নিয়মিত বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে স্টার্টআপের ইকোসিস্টেম পাইপলাইন তৈরি করতে হবে। এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল ভেরিফিকেশন, সাইবার লিটারেসি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করতে হবে।

আজ বুধবার (২০ আগস্ট) যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের এনডিসি’র ডিজাস্টার রিকোভারি ডেটা সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা বলেন।

পরিদর্শন এবং মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের এমডি এ কে এম আমিরুল ইসলাম, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার র‌ওনক জাহান, ডেটা সেন্টার কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন ই কমার্স প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সেখানে নতুন ডেটা সেন্টারের নকশা, সাইট পরিদর্শন শেষে প্রস্তাবিত এবং বিদ্যমান ফেসিলিটি সমূহের সার্বিক মান উন্নয়ন এবং অপারেশনাল এক্সিলেন্স ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বিষয়টি সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করবেন বলে তিনি জানান।স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ে যশোরের এসপি রওনক জাহানের সঙ্গে আলাপ করেন। তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে সেবা ডট এক্সওয়াইজেড এবং চালডাল ডট কম এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বিনিয়োগকারীদের ভাড়া কমানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে কমিটি করা হয়েছে। অতীতে বৈষম্যপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে রাজশাহী সফটওয়্যার পার্কে কম ভাড়া দেখানো হয়েছে, সেটিকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরলে হবেনা। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং কর্মসংস্থানের পাইপ লাইন বিবেচনায় ভাড়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিক ছাড় দেয়া হবে। শর্ত হিসেবে তার আগে বকেয়া ভাড়া এবং বকেয়া ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হবে। বিগত সরকারের রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করেই অর্থ লুটপাট করে পালিয়ে গেছে, এতে সরকার এবং বিনিয়োগকারীরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি সমাধানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *