এনআইডি সেবা ইসি’তে রাখার দাবিতে কাল সারাদেশে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি

ক.বি.ডেস্ক: জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি ঘোষনা করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন-ইসি কর্মীরা সারাদেশে নিজেদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়।
আজ বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এর মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মতিয়ুর রহমান, আশরাফ হোসেন, মো. হাসানুজ্জামান ও সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, “এই কর্মসূচিতে আমরা অফিসের সামনে অবস্থান নেব। সঙ্গত কারণে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তাতে অবস্থান নেবেন, এ সময় আমাদের কাজ তো আমাদের করার সুযোগ নেই। সুতরাং কাজ বন্ধ করেই আমাদের সামনে দাঁড়াতে হবে। এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে অন্য কোথাও না নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে আমরা গত ৫ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসির )-এর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখতে চেয়েছি, কমিশনের পক্ষ থেকে পেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। আমরা ঘোষণা করেছিলাম, ১২ মার্চের মধ্যে যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে কর্মসূচি দিব। এর মধ্যেও যদি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় আমরা অ্যাসোসিয়েশনের সবাই আলোচনা করে কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে ইসির আগের সংলাপগুলোতে অংশীজনরা মতামত দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একটি আইন করে শুধুমাত্র এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেয়ার চেষ্টা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধীনেই রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে দেখা যাচ্ছে আলাদা করে একটি কমিশন বানিয়ে এনআইডি তার অধীনে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হল।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা বলেন, এনআইডি সেবা ইসির অধীনে থাকবে, এটি যৌক্তিক দাবি। এনআইডি ইসির অধীনে না থাকলে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হবে- এমন উদ্বেগ যৌক্তিক। এনআইডি আলাদা হলে নির্বাচন ব্যবস্থাই বাধাগ্রস্ত হবে বলে তারা দাবি করেন।