এটুআই’র সঙ্গে রানার অটোমোবাইলস’র চুক্তি

ক.বি.ডেস্ক: দেশে পরিবেশবান্ধব টেকসই ও নাগরিককেন্দ্রিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তিসম্পন্ন অটোমোবাইল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি।এটুআই বিশ্বের বিকাশমান প্রযুক্তির আলোকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার মূল্যায়ন করে দেশের অটোমোবাইল খাতের জন্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উদ্ভাবন অন্বেষণ ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান করবে।
এসব গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে রানার। যার মাধ্যমে দেশের সরকারি-বেসরকারিভাবে অটোমোবাইলস খাতে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ততায় ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বাজারের চাহিদার আলোকে বিদ্যুতচালিত যানবাহনসহ উন্নত প্রযুক্তির ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচলন সম্ভব হবে।
গতকাল বুধবার (২৩ নভেম্বর) আগারগাঁওর আইসিটি টাওয়ারে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এটুআই। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং রানার অটোমোবাইলস’র চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। সঞ্চালনা করেন এটুআই-আইল্যাব’র ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপার্ট তৌফিকুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদেরকে আইডিয়েশন থেকে বাণিজ্যিকীকরণের দিকে যেতে হবে। এ রূপান্তরের সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণে এটুআইর ইনোভেশন ল্যাব এর মাধ্যমে দেশের উদ্ভাবক ও গবেষকদের মেধা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য দেশের বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকেও সহায়তা প্রদান করা হবে। সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিদ্যুতচালিত যানবাহনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আইসিটিকে ২০২২ সালের প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছেন। দেশের অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা আলাদা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র না করে এটুআই-ল্যাবের মাধ্যমে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন করে খুব সহজে ও কম খরচে এই খাতে জড়িত দেশের অন্য বেসরকারি খাত ও অটোমোবাইলস কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে।