একুশে বইমেলায় তপন কান্তি সরকার এর ‘নতুন বিশ্বের নতুন ক্যারিয়ার’ বই

ক.বি.ডেস্ক: নতুন বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নতুন দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পুরনো দক্ষতা দিয়ে নতুন বিশ্বে চাকরি পাওয়া যাবে না। নতুন বিশ্বে টিকে থাকতে এবং নিজেকে আইসিটি বিপ্লবের একজন দক্ষ লোক হিসেবে গড়ে তুলে ধরতে যে যে দক্ষতাগুলো দরকার এবং আমাদের সামনে নতুন যে দিগন্ত উন্মোচন হচ্ছে, সেসব দিক নির্দেশনামূলক দেশের আইসিটি খাতের অন্যতম পথিকৃত তপন কান্তি সরকার তার নতুন বই ‘নতুন বিশ্বের নতুন ক্যারিয়ার’ ৪র্থ শিল্প বিপ্লব বইতে এসব কথা তুলে ধরেছেন।
বইটি প্রকাশ করেছে আহমদ পাবলিশিং হাউস। বইটিতে আধুনিক আইসিটি খাতের প্রয়োজনীয় ক্যারিয়ার গড়ার দিক নির্দেশনাসহ হাতে কলমে শেখার ওপায় বর্ণনা দিয়েছেন লেখক। লেখার সঙ্গে প্রয়োজনীয় নজরকাড়া ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে ২৭২ পৃষ্ঠার বইটি। বইটির মূল্য ৫২৫ টাকা। রকমারি ওয়েবসাইট থেকে এবং অন্যান্য সাইট থেকেও সংগ্রহ করা যাবে বইটি।
নতুন বই প্রসঙ্গে তপন কান্তি সরকার বলেন, “বইটি কোনো গতানুগতিক ধারার নয়। এখানে প্রয়োজনীয় তথ্যের সমন্বয় করা হয়েছে। সহজ সরল করে আইসিটির নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যা বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ার গড়তে কাজে লাগবে। এ ছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করা যাবে। তরুণ জ্ঞানপিপাসু এবং ক্যারিয়ার গঠনের জন্য সবার বইটি কাজে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে। গতানুগতিক শিক্ষা ও কর্মপন্থা এর উপযোগী নয়। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সঠিক শিক্ষা অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। তরুণদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে হবে। মহামারী পরিস্থিতি যেন তরুণদের হতাশ না করে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব বিষয়ের ভাবনা থেকে ও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বইটি লিখেছি।”
তপন কান্তি সরকার দেশের আইসিটি ক্ষেত্রে পরিচিত মুখ। তিনি চার দশকের বেশি সময় ধরে আইসিটি খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি ২০১৪ সালে সরকারের আইসিটি বিভাগ থেকে দেশের শ্রেষ্ঠ প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে কমপিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি নেন। তিনি বেক্সিমকো, ফ্লোরা, আইএফআইসি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংকে প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ২০০৯ সাল থেকে সভাপতি হিসেবে সংগঠনটিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।