উদ্যোগ সাম্প্রতিক সংবাদ

একাডেমি-ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে সিটিও ফোরাম

ক.বি.ডেস্ক: তরুণ জনগোষ্ঠিকে দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তার সঙ্গে আইসিটি খাতে কর্মরত প্রযুক্তিবিদদের দক্ষতা উন্নয়নে নেটওয়ার্ক তৈরিতে নেয়া কার্যক্রম সুদক্ষ প্রযুক্তিবিদদের নেতৃত্ব বিকাশে উতসাহিত করবে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে ইন্ড্রাটির মেধা চাহিদা পূরনের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়া ইন্ড্রাস্ট্রি এবং একাডেমির সম্পর্ক উন্নয়নেও এ ধরনের পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সিটিও ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ন কুমার ঘোষ।

আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটে সাগর-রুনি হলে সিটিও ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কানাডিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের কমপিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সৈয়দ আক্তার হোসেন, এটুআই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আরফে এলাহি মানিক এবং সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটিও ফোরামর যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আশরাফুল হক, কোষাধ্যক্ষ মো. মুসা, নির্বাহি কমিটি সদস্য মো. আসিফ প্রমুখ।  

ডা. সৈয়দ আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহস্রাধিক কমপি ইঞ্জিনিয়ার বের হচ্ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ইন্ডাস্ট্রি চাহিদা অনুযায়ি প্রস্তুতি না থাকায় চাকরির বাজারে তারা যথাযথ দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়। সিটিও ফোরাম ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ছাত্র/ছাত্রিদের জন্য ইনোভেশন হ্যাকাথনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে যেমন ধারণা দিতে সক্ষম হচ্ছে তেমন শিক্ষার্থীদের মেধা ঘাটতির তার সমাধান করাও দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে তাদের আন্তবিকাশের উন্নয়ন ঘটছে।

আরফে এলাহি বলেন, এটুআই’র কাজের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা নিয়েই সিটিও ফোরাম তাদের ইনোভেশন হ্যাকাথনের আয়োজন করে। আমরা অত্যন্ত খুশি আমাদের তরুণেরা তাদের সমস্যা সমাধানে সক্ষমতা অর্জন করছে। যদি আমরা তরুণদের তৈরি করতে পারি তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার যোগ্য কর্ণধার পাওয়া কষ্টকর হবে না।

তপন কান্তি সরকার বলেন, ফোরামের যাত্রার পর থেকে আজ  অবধি আমাদের একমাত্র লক্ষই ছিলো তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশের মানবসম্পদের যথাযথ উন্নয়ন। আমরা বিশ্বাস করি দক্ষতা অর্জন এবং তার প্রয়োগের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম। আমরা যদি দেশের মানবসম্পদকে আন্তজার্তিকভাবে সুদক্ষ করতে পারি তবেই সাইবার জগতে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কমবে পরনির্ভরশীলতা। আমরা একাডেমির সঙ্গে আরও  কাজ করার উতসাহ বোধ করব।

সংবাদ সম্মেলনে সিটিও ফোরামর ভবিষ্যত কার্যক্রম হিসেবে ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২২ ছাড়াও দেশ সেরা শ্রেষ্ঠ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা সম্মাননা অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণাসহ ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় করেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *