‘এওভি চ্যাম্পিয়নশিপ’র কো-স্পন্সর হল ইনফিনিক্স
ক.বি.ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত মানের ভিডিও গেম খেলা একটি জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রবণতা হয়ে উঠেছে। এই প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশি গেমাররাও এখন নিজেদের মোবাইল ফোনে উন্নত মানের ভিডিও গেম খেলছেন। কিন্তু কখনও কখনও স্বাচ্ছন্দ্যে গেম খেলার মতো ডিভাইস, অর্থাত মোবাইল ফোনের দাম তাঁদের সামর্থ্যের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। তাই বাংলাদেশী গেমারদের প্রত্যাশা পূরণে ইনফিনিক্স ‘‘হট ইলেভেন এস’’ ডিভাইসে উন্নত মানের গেম খেলার সুযোগ নিয়ে এসেছে। এখন তাঁরা নিজেদের ফোনে ডার-লিঙ্ক আলটিমেট গেম বুস্টার ব্যবহার করে গেম খেলতে পারবেন। শুধু তাই নয়, একজন গেমার সেই সেটিংস ও গেমগুলো গেম জোনে সেভ করেও রাখতে পারবেন।
উচ্চ প্রযুক্তি মানসম্পন্ন কনফিগারেশন সমৃদ্ধ এই ফোন তরুন গেমারদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এই পাওয়ার-প্যাকড ডিভাইসটিতে গেমিং প্রসেসর হেলিও জি৮৮, ৯০ হার্টজ এফএইচডি+ ডিসপ্লে এবং বিশাল স্টোরেজ সুবিধা, ৬ জিবি র্যাম এবং আরো ৫ জিবি বর্ধিত র্যামের সুবিধা রয়েছে। সব মিলিয়ে একটি সাশ্রয়ী বাজেট সীমার মধ্যেই রয়েছে উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন এই মোবাইল ফোনের দাম। ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস মোবাইল ফোনসেটের মূল্য এখন সারা দেশে ১৫,১৯০ টাকা।
বাংলাদেশে এওভি চ্যাম্পিয়নশিপের কো-স্পন্সর হল ইনফিনিক্স: দেশের গেমিং সম্প্রদায় জনপ্রিয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মোবাইল ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। সে অনুযায়ী গেমাররা এখন অ্যারেনা অব ভ্যালর ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-এ দক্ষিণ এশিয়া থেকে কোয়ালিফাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিযোগিতাটিতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও পাকি প্রতিযোগীতায় অংশ নিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আর্থিক পুরস্কার ৭৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এসসহ আরো কিছু লোভনীয় পুরস্কার রয়েছে।
ইনফিনিক্স মোবাইল বাংলাদেশ তার সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস-এর মাধ্যমে বৃহত্তম এই ই-স্পোর্টস অফলাইন গেমিংয়ের পৃষ্ঠপোষক হয়েছে। এই প্রতিযোগিতাটি প্রথমে গত ১১-২২ মার্চ পর্যন্ত আঞ্চলিকভাবে বাংলাদেশ, পাকি, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমার-এই চার দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দেশ থেকে বিজয়ী ৮টি দল এবারে একটি ল্যান (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) ইভেন্টে ফাইনাল প্লে অফে অংশ নেবে, যা আয়োজন করবে বাংলাদেশ।
এই টুর্নামেন্টের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল । প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জয়ের জন্য বাংলাদেশের বিজয়ী দলগুলো এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়াই করবে। গ্র্যান্ড ফাইনালে বিজয়ী দলটি এরপর গ্লোবাল স্টেজ তথা বৈশ্বিক পর্যায়ের অ্যারেনা অব ভ্যালর ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার টিকিট পাবে। চলতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসে একটি পদক ইভেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে অ্যারেনা অব ভ্যালর। অ্যারেনা অব ভ্যালর হল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মাল্টি-প্লেয়ার ই-স্পোর্টস গেম, যা স্মার্টফোনে নির্বিঘ্নে খেলা যায়। এই গেমে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব ও কার্যক্ষমতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে না।
অ্যারেনা অব ভ্যালরের গেমপ্লে এমনভাবে তৈরি, যেটি একাধিক মানে বেশ ক’জন খেলোয়াড় দলবদ্ধ হয়ে খেলতে হয়। গড়ে ১২-১৮ মিনিট খেলার পর এই গেমের প্রতিযোগীদের মান বা অবস্থান নির্ধারিত হয়ে থাকে।
এসব কিছুর কেন্দ্রে রয়েছে গেমটির বিস্তৃতি ও বলিষ্ঠ চরিত্র নির্বাচন, যাকে বলা হয় নায়ক। এই খেলায় জেতাটা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। বিষয়গুলো হচ্ছে- টিম সিনার্জি বা দলগত সমন্বয় ও প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া। এ ধরনের মহাকাব্যিক গেম লড়াই থেকে অনেক বিখ্যাত সুপারহিরো কারেক্টার বা চরিত্র সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন- সুপারম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, লাভিল ইত্যাদি। যারা গেম খেলতে ভালবাসেন তাঁদের বেশিরভাগের কাছেই এ ধরনের সুপারহিরো কারেক্টার বা চরিত্রগুলো খুবই আকাঙ্ক্ষিত।
অ্যারেনা অব ভ্যালর ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ (এআইসি) ২০২২-এর দক্ষিণ এশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালকে সামনে রেখে গেমাররা দুই হিরো মানে নায়কের দাবি করতে পারেন। যেমন, তাঁরা এওভির ওয়েবসাইটে দেয়া নির্দেশাবলী মেনে এওভিতে নিবন্ধন করে বিনা মূল্যে জোকার ও ব্যাটম্যানের মতো হিরো কারেক্টার বা নায়ক চরিত্র দাবি করতে পারেন। তবে তা পেতে হলে ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে এওভিতে নিবন্ধন করতে হবে।