এআই সমর্থিত গিগাবাইট অরাস মাদারবোর্ড
ক.বি.ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) শক্তি দিয়ে কম্পিউটিংয়ের নতুন যুগের সূচনা করলো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিগাবাইট। গিগাবাইট অরাস ‘এক্স৮৭০’ ও ‘এক্স৮৭০ই’ মাদারবোর্ড দিয়ে বাংলাদেশের কমপিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। মাদারবোর্ড দুটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত, যা ব্যবহারকারীদের কম্পিউটিং অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এআই সমৃদ্ধ গিগাবাইট অরাস ‘এক্স৮৭০’ ও ‘এক্স৮৭০ই’ মাদারবোর্ড উন্মোচন করা হয়। গিগাবাইট পণ্যের একমাত্র পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই দিনে একই সময়ে গিগাবাইট এর এই নতুন দুটি মাদারবোর্ড দেশের প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য উন্মোচন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গিগাবাইটের কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান, স্মার্ট টেকনোলজিসের ডিসট্রিবিউশন বিজনেস ডিরেক্টর জাফর আহমেদ, চ্যানেল সেলস ডিরেক্টর মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) এর সভাপতি মো. কাউছার উদ্দিন, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিষ্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এর সভাপতি নাজনীন নাহার, গিগাবাইটের পণ্য ব্যবস্থাপক মো. তানজিম চৌধুরি, স্মার্ট টেকনোলজিসের মিডিয়া অ্যান্ড কম্উনিকেশনের এজিএম মাহফুজুর রহমান মুকুল।
গিগাবাইট অরাস ‘এক্স৮৭০’ ও ‘এক্স৮৭০ই’ মাদারবোর্ড
এই মাদারবোর্ডগুলোতে ব্যবহৃত এআই’র প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের কাজের দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। গিগাবাইট অরাস এক্স৮৭০ শক্তিশালী পারফরম্যান্স, দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার এবং উন্নত কুলিং সিস্টেম বৈশিষ্ট্যসহ এএমডি রাইজেন ৯০০০, ৮০০০ এবং ৭০০০ সিরিজের প্রসেসর সমর্থন করে। গিগাবাইট এক্স৮৭০ই গেমার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আদর্শ।
মাদারবোর্ডগুলোতে রয়েছে ডিজিটাল টুইন ফেজ ভিআরএম সলিউশন যা নিশ্চিত করবে পাওয়ারফুল পারফর্মেন্স, ওভারক্লকিং যা যেকোন এপ্লিকেশনের জন্য আদর্শ। এতে রয়েছে ডুয়াল চ্যানেল ডিডিআর৫ ৪টি ডিআইএমএমএস স্লট যা এএমডি এক্সপো মেমোরি মডিউল সাপোর্ট করবে। দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস এবং ডেটা ট্রান্সফারের জন্য রয়েছে ৪টি পিসিআইই ৫.০ স্লট এবং ৪টি এম.২ স্টোরেজ স্লট। মাদারবোর্ডে ব্যবহৃত এআই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের কাজের ধরন অনুযায়ী সিস্টেমকে অপটিমাইজ করে, যার ফলে কাজের গতি বাড়ে এবং শক্তি খরচ কমে।