‘এআই-চালিত ইমপ্যাক্ট স্টার্টআপ’ বিষয়ক কর্মশালা
ক.বি.ডেস্ক: সামাজিক বা পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করা যায় তার ওপর ভিত্তি করে ‘এআই-চালিত ইমপ্যাক্ট স্টার্টআপ’ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এই বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করে।
এই কর্মশালা বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে এআই-এর শক্তিকে কাজে লাগাতে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা উদ্ভাবন ও ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানে ইউআইটিএস-এর প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। কর্মশালায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১১০ জন শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অংশ নেন।
গত মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাকসেলেরেটিং বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মো. শরিফুল ইসলাম, লিড বিজনেস কোচ বি এম বানজির আহমেদ, বিজনেস কোচ প্রসূন বেপারি এবং বিজনেস কোচ শফিকুল আলম সাইফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাকসেলেরেটিং বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ড. মুহাম্মদ আরিফুর রহমান।
এ ছাড়ও উপস্থিত ছিলেন ইন্সটাজবের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও উম্মে কুলসুম, আইকিউএসি’র পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সফায়েত হোসেন, ইউআইটিএস’র প্রক্টর মো. তারিকুল ইসলাম এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের সুপারভাইজার মো. তাসনিম তানভীর।
ড. মুহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, “স্টার্টআপের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উদ্ভাবন ও বিকাশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এআই ব্যবহার করে নতুন পণ্য, পরিষেবা ও ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এআই স্টার্টআপগুলোর চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো, প্রতিভা এবং তহবিল সংগ্রহের বিষয়গুলো। এআই-ভিত্তিক সমাধানগুলো তৈরি ও প্রসারের কার্যকর কৌশলগুলো সস্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।”
অ্যাকসেলেরেটিং বাংলাদেশ হলো ডিজিটাল স্টার্টআপদের জন্য একটি স্টার্টআপ অ্যাকসেলেরেটিং প্রোগ্রাম, যা ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অংশ। ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটির সঙ্গে যৌথভাবে এটি উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছে।
