উদ্যোগ

এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ- এ চ্যাম্পিয়ন ডিআইইউ’র টিম উইসডোমিক

ক.বি.ডেস্ক: শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্ভাবক এবং প্রযুক্তিপ্রেমীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এক জাতীয় উদ্ভাবনী উৎসব ‘এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-২০২৫’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের তরুণরা নিজ নিজ দক্ষতা ও চিন্তাশক্তি প্রকাশ করতে পেরেছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে প্রযুক্তিকে প্রয়োগ করার অনুশীলন করেছে। এবারের আয়োজনে সারা দেশ থেকে ৭০০ জনের বেশি প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে।

গতকাল শনিবার (৩ মে) রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ড্যাফফোডিল টাওয়ারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিিিটউট (দিপ্তী)-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সর্ববৃহৎ আয়োজন ‘এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-২০২৫’। আয়োজনের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন কনভেনর ও দিপ্তী’র নির্বাহী পরিচালক রথীন্দ্র নাথ দাস। সকালে এ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন ডিআইইউ’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান।

দিনব্যাপী তিনটি প্রজ্ঞাবান ওয়ার্কশপে আলোচিত হয় এআই-এর বাস্তব জীবনে প্রয়োগ, নৈতিকতা এবং সম্ভাবনার বিস্তার। অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। অলিম্পিয়াডে সেরাদেে সেরা দল নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দল। টারশিয়ারি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ডিআইইউ’র টিম উইসডোমিক, প্রথম রানার আপ হয় শাবিপ্রবি’র টিম টিসার এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয় ডিআইইউ’র টিম ওসমান।

‘এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-২০২৫’-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এবং ইয়ুথ প্রোগ্রামের ইভেন্টস অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন চিফ কো-অর্ডিনেটর মো. মুনির হাসান, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং ডিআইইউ’র বিজ্ঞান ও আইসিটি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ড্যাফফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তি নয়, বরং জাতি গঠনের একটি হাতিয়ারও। আর এই অলিম্পিয়াড আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সেই হাতিয়ার তৈরীর পথেই ধাবিত করবে। আইসিটি বিভাগ নিরলসভাবে প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে এ ধরনের অলিম্পিয়াড আয়োজনে সরাসরি সহযোগিতার করবে।”

ড. মো. সবুর খান বলেন, “প্রযুক্তির সঙ্গে প্রজন্মের একটি নিবিঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিকাশ অব্যাহত থাকবে। এই অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি ছিল একটি রূপান্তরমূলক প্রক্রিয়া। আমরা কেবল একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করিনি, বরং একটি জাতীয় মঞ্চ তৈরি করেছি, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের তরুণরা নিজ নিজ দক্ষতা ও চিন্তাশক্তি প্রকাশ করতে পেরেছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি জাতীয় এআই সচেতনতা ও উৎসাহ তৈরি করেছি, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি নির্ভ র অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে তুলবে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *