উৎসবমুখর পরিবেশে ‘ফল উতসব’ আয়োজন করে ইসিএস

ক.বি.ডেস্ক: প্রকৃতিতে বইছে ফলের সুবাস। বাহারি রং আর স্বাদের ফলের পসরা নিয়ে সেজেছে প্রকৃতি। টক-মিষ্টি নানা ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করতে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘ফল উৎসব’ আয়োজন করে এলিফ্যান্ট রোড কমপিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ইসিএস)। ইসিএস’র সদস্যরা এই ফল উৎসবে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই উৎসব দেশের প্রযুক্তি খাতে একটি আনন্দময় মিলনমেলায় রুপ নেয়।
ইসিএস প্রতি বছরই এই ফল উৎসবের আয়োজন করে থাকে, যেখানে দেশীয় বিভিন্ন ফল প্রদর্শিত হয় এবং সকল সদস্যদের জন্য তা উন্মুক্ত থাকে। এই উৎসবে দেশীয় ফলের সমাহার থাকে এবং সকলে মিলে দেশীয় ফলের স্বাদও গ্রহণ করেন। সুস্বাদু ও রসালো ফলের জমজমাট এ আয়োজন ‘ফল উৎসব’-এ ছিলো আম, কাঁঠাল, কলা, আনারস, লটকন, পেয়ারা, ড্রাগন, গাব, কামরাঙ্গা, জাম্বুরা সঙ্গে সরিষা ও বোম্বাই মরিচের সংমিশ্রনে কাঁচা আমের ভর্তা, জাম্বুরা ভর্তা এবং কামরাঙ্গা ভর্তা। পাশাপাশি ছিলো নিমকি, চানাচুর এবং কফি পরিবেশনা।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডস্থ ইসিএস’র প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ফল উৎসব’ এর উদ্বোধন করেন ইসিএস সভাপতি ও বিসিএস’র সহসভাপতি মো. ওয়াহিদুল হাসান দিপু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএস’র যুগ্ম মহাসচিব মো. আহসানুল ইসলাম নওশাদ, সাবেক পরিচালক এইচ এম শাহ নেওয়াজ, সাবেক মহাসচিব নজরুল ইসলাম মিলন, ইসিএস’র সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, সাবেক সভাপতি মো. আমির হোসেইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মজুমদার সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন ইসিএস সাধারণ সম্পাদক ও বিসিএস’র পরিচালক মো. ইকবাল হোসেইন।

ইসিএস ‘ফল উৎসব’-এর সার্বিক আয়োজনে আহবায়ক ছিলেন ইসিএস’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম ইমন এবং সদস্য সচিব ছিলেন ইসিএস’র আইটি সম্পাদক তানজিল হোসেইন। এ ছাড়াও উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপিত ‘ফল উৎসব’-এ উপস্থিত ছিলেন প্রচার, প্রকাশনা ও জনসংযোগ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদির, সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবা সম্পাদক মো. সোহেল ব্যাপারি, পরিচালকত্রয় কবির হোসেইন, মো. আরশাদ খান এবং মো. এনামুল কবির সহ ইসিএস এর সদস্যবৃন্দ।
এই আয়োজন নিয়ে ইসিএস সভাপতি মো. ওয়াহিদুল হাসান দিপু বলেন, “এই ফল উৎসব কেবল ফল খাওয়ার আয়োজন নয়, বরং এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক শিকড়ের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ। এর মধ্য দিয়ে সদস্যদের মাঝে সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যবোধ গড়ে ওঠে। এক সময় দেশের গ্রামেগঞ্জে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যেতো। কালের পরিক্রমায় বহু ফল হারিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলের জায়গায় এখন আমদানি করা ফল বাজার দখল করে নিয়েছে। দেশের বিলুপ্তপ্রায় ফলগুলো কীভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে দেশের কৃষি গবেষণা বিভাগের প্রতি আহ্বান জানাাই। এতে করে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এসব ফলের সঙ্গে আমাদের নতুন প্রজন্ম পরিচিত হতে পারবে।”

এ প্রসঙ্গে ইসিএস সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেইন বলেন, “ইসিএস সদস্যদের প্রযুক্তি পণ্যের দৈনন্দিন ব্যবসায়িক কার্যক্রমের পাশাপাশি আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি ও দেশি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতেই আমাদের এই আয়োজন। আমরা চেয়েছিলাম দেশের আইসিটি খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে এক টেবিলে বসিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির একটি মুহূর্ত তৈরি করতে। আলহামদুলিল্লাহ, আজকের এই উপস্থিতি আমাদের সেই চেষ্টাকে সফল করেছে।”
আমাদের ছয় ঋতুর দেশে মৌসুমভেদে বিভিন্ন ফলের সমারোহ আমরা দেখতে পাই। তার মধ্যে আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম সহ আরও কিছু রসালো ফল আমরা একসঙ্গে পাই। এর মধ্যে কাঁঠাল হলো আমাদের দেশের জাতীয় ফল। মৌসুমি সকল ফলই আমাদের খাওয়া উচিত। ফল উৎসব আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ।