সাম্প্রতিক সংবাদ

উল্কাসেমি অর্জন করল ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর সক্ষমতাকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে উল্কাসেমি অর্জন করেছে ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’। নন–ট্র্যাডিশনাল ও উদীয়মান সেবা খাতে রপ্তানি উৎকর্ষতার জন্য উল্কাসেমিকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে উচ্চপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে উল্কাসেমি ইঞ্জিনিয়ারিং সক্ষমতা বাড়ানো এবং ২০৩০ সালের মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।

গত রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ব্রিটিশ হাই কমিশন ঢাকা এবং কেপিএমজি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ হাই কমিশনার হেলেনা সারাহ কুক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ ম্যানসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মাহবুব উর রহমান। ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ গ্রহণ করেন উল্কাসেমির সিইও ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান।

এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে ডিপ–টেক সেবার গুরুত্ব এবং উদীয়মান বৈশ্বিক শিল্পে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে। এ বছর বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়েছে বার্ষিক রপ্তানি অবদান, অর্থনৈতিক প্রভাব, বহুমুখিতা, দায়িত্বশীল ও টেকসই কার্যপদ্ধতি, সুশাসন মানদণ্ড এবং বিধিনিষেধ অনুসরণের ভিত্তিতে।

এই স্বীকৃতি উল্কাসেমির ক্রমবর্ধমান অবদানকে আরও উজ্জ্বল করে তুলে ধরে বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের জন্য উন্নত সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন সেবা দেয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উচ্চপ্রযুক্তি রপ্তানি খাতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। টিএসএমসি ডিজাইন সেন্টার অ্যালায়েন্সের মাত্র ৩২টি বৈশ্বিক অংশীদারের একটি হিসেবে উল্কাসেমি বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর ভ্যালু চেইনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সুসংহত করছে।

এ অর্জন নিয়ে মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান বলেন, “এই অর্জন বাংলাদেশের বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর খাতে উত্থানের এক তাৎপর্যপূর্ণ স্বীকৃতি। এটি আমাদের আরও দূর এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। বর্তমানে আমাদের চারটি বৈশ্বিক ডিজাইন সেন্টারে ৫৫০ এর অধিক ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৫,০০০–এ উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা চালু করছি ‘ভিএলএসআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’, যা বিশ্বমানের সেমিকন্ডাক্টর ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হবে। আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট বাংলাদেশকে বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে আরও এগিয়ে নেয়া এবং উচ্চ–প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি গঠনে অবদান রাখা।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *