ই-রিকশা এবং চালকদের নিবন্ধন করতে হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ক.বি.ডেস্ক: ই-রিকশা এবং চালকদের নিবন্ধন করতে হবে। দুর্নীতি এড়াতে পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করা হবে। যাতে করে এখানে হাতের কোনো সংস্পর্শ না থাকে। কারণ হাতের সংস্পর্শ আর লাইসেন্সের বিষয় হলেই আমাদের এখানে অবৈধ লেনদেনের একটা সুযোগ তৈরি হয়। ঢাকায় রিকশার এই রূপান্তরটা যারা করবেন, সেই রিকশাচালকদের ওপর যেন বাড়তি চাপ তৈরি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে চাই।
আজ শনিবার (২৮ জুন) নগর ভবন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অডিটোরিয়ামে (গুলশান-২) ‘তিন চাকার স্বল্প গতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা আব্দুল হাফিজ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন আমাদের রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা। ই-রিকশা লাইসেন্সিং সিস্টেমে নিয়ে আসলে আর কেউ রিকশাওয়ালা ভাইদের অবৈধ বলতে পারবে না এবং হয়রানিমূলক শাস্তি প্রদান করতে পারবে না। তারা যথাযথ নাগরিক মর্যাদা নিয়ে চলতে পারবে। ই-রিকশা চালকের লাইসেন্স এবং গাড়ির লাইসেন্স হবে অনলাইনে যাতে করে দুর্নীতির সুযোগ না থাকে। শুরুতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ এ নির্দিষ্ট সংখ্যক ই-রিকশা চলবে। এ ছাড়া রিকশা অ্যাপস, ওয়েবসাইট এবং রিকশায় কিউআর কোড থাকবে যেনো সহজে ট্রাফিক পুলিশ রিকশা সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতায় তথ্য পেতে পারে।”
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আগামী অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-১ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-২ এ চলাচল শুরু করবে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার রিকশা বা ই-রিকশা। ধীরে ধীরে ই-রিকশা নামানোর প্রক্রিয়াটি হবে। পুরো বিষয়টি আমরা সায়েন্টিফিক ও গ্রাজুয়াল প্রসিডিউর মেনে করব, কোনো জোর-জবরদস্তির পথে আমরা যাব না। ওইসব অঞ্চলে যারা রিকশা চালাচ্ছেন, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং ই-রিকশাও দেয়া হবে তাদেরই। চার্জিং পয়েন্টের বিষয়ে আমরা কাজ করছি, দেখি কিছু চার্জিং পয়েন্ট তৈরি করা যায় কি না। ডেসকোর সঙ্গে আমরা আলাপ করে সেটা ঠিক করব।”