উদ্যোগ

ইয়ুথ টেক সামিট: প্রযুক্তি খাতে নতুন কোনো কর আরোপ না করার আহবান

ক.বি.ডেস্ক: ‘আমরা কি এআই’র জন্য প্রস্তুত’ মূল প্রতিবাদ্যে শুধুমাত্র তরুণদের জন্য দেশে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী “ইয়ুথ টেক সামিট-২০২৪”। দেশে তরুণদের নিয়ে কাজ করা ১৪টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল ২০ জন সফল ও খুবই তরুণ (২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বয়স) উদ্যোক্তাদের বক্তব্য। নতুন প্রযুক্তি, বিশেষ করে এআই ব্যবহার করে এসকল উদ্যোক্তা কৃষি, স্বাস্থ ও শিক্ষা খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করার কাজ শুরু করেছে।

গতকাল বুধবার (২২ মে) ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইয়ুথ টেক সামিট’ এ তরুণ উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ সফল উদ্যোক্তা বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্য রাখেন প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, বিডিজবস’র প্রধান ফাহিম মাশরুর, ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসান, বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কবির, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার জাহিদ, বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন। সঞ্চালনা করেন গোলাম সামদানি ডন।

আগামী বাজেটে যাতে নতুন কোনো কর এই উদ্যোক্তাদের ওপরে না আরোপ করা হয়। কেননা প্রযুক্তির এই পরিবর্তনের সময়ে প্রচুর নতুন বিনিয়োগ দরকার নতুন এআই ভিত্তিক প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য। এই পর্যায়ে নতুন করে আয়কর বা ভ্যাট আরোপ করলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।

বিডিজবস’র প্রধান ফাহিম মাশরুর

আহসান খান চৌধুরী বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ তারাই তৈরী করবে। তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের ফান্ডিং সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে প্রাণ গ্রুপ বিবেচনা করছে।”

ফাহিম মাশরুর বলেন, “এআই এর মতো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হলে এর নেতৃত্ব দিতে পারে শুধু তরুণরাই। তরুণ উদ্যোক্তাদের সব ধরণের সহায়তা প্রদান করতে হবে। আগামী বাজেটে যাতে নতুন কোনো কর এই উদ্যোক্তাদের ওপরে না আরোপ করা হয় সেই ব্যাপারে তিনি সরকারকে আহবান জানান। কেননা প্রযুক্তির এই পরিবর্তনের সময়ে প্রচুর নতুন বিনিয়োগ দরকার নতুন এআই ভিত্তিক প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য। এই পর্যায়ে নতুন করে আয়কর বা ভ্যাট আরোপ করলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।”

শামীম আহসান বলেন, “গ্র্যান্ট বা ফ্রি মানি চাই না। আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ চাই। এ জন্য আগামী বছর তিনেক কর অব্যাহতি রেখে পরে ধীরে ধীরে সহনীয় হারে কর আরোপের পরামর্শ দেন তিনি। এআই ভিত্তিক ওপেন সোর্সের মডেল দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গ্লোবাল এআই ইউজ কেইসের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এত বিপুল জনসংখ্যার দেশের এআই ইউজ কেইস মডেল থেকে সারা বিশ্ব উপকৃত হতে পারে।”

তরুণ উদ্যোক্তারা হলেন ড্রিমজয় ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা তানভির হোসেন খান, ব্যাকস্পেসের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল রহমান, সিগমাইন্ডের প্রতিষ্ঠাতা আবু আনাস শোভন, মার্কোপোলোর সিইও তাসফিয়া তাসবীন, শিখো’র সিইও শাহির চৌধুরী, আইফার্মার সিইও ফাহাদ ইফাজ, ড. চাষি’র সিইও মেদিনা আলী, লার্ন উইথ সুমিতের সিইও সুমিত সাহা, উইন্ড অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ আহমেদ, ইন্টারঅ্যাকটিভ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা আল সামির, মিত্র ফিনটেক’র সিইও কিশওয়ার হাসেমী

গ্র্যান্ট বা ফ্রি মানি চাই না। আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ চাই। এ জন্য আগামী বছর তিনেক কর অব্যাহতি রেখে পরে ধীরে ধীরে সহনীয় হারে কর আরোপের পরামর্শ দেন তিনি

ভিসিপিয়াব সভাপতি ও ইজেনারেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান

ইনোডক্স টেকনোলজিসের সিইও মো. মুনিরুল আলম, ওস্তাদের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৌরভ বড়ুয়া, আমর ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তাহরীন শাহ, ডেডস কোরের প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল ইসলাম, অ্যানিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল আমিন, নয়ন আইটির ডিজিটাল মার্কেটার এ এইচ আলী, মুজেলডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাসির উদ্দিন, এয়ারওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা সাযমে ফারুক, কোডম্যান বিডির প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজুল আসিফ ও প্রোগ্রমিং হিরোর সিওও আব্দুর রাকিব প্রমুখ।

সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, জেসিআই বাংলাদেশ, বিআইজেএফ, নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন, বিডিঅ্যাপস, ভিসিপিয়াব, ইয়্যুথ ইন টেক, ফিরল্যান্সার্স অব বাংলাদেশ, রাইজ অ্যাবাভ অল, বিওয়াইএলসি, জিইএন, ইয়্যুথ ফর পলিসি, বিওয়াইএলসি, গ্লোবাল শেপার, জেন বাংলাদেশ এবং ড্যাফোডিল নেটওয়ার্ক।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *