আশা করি আগামী বাজেটে আইসিটি খাতে কর ধার্য করা হবে না: সালমান এফ রহমান
ক.বি.ডেস্ক: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আইসিটি খাতে কর সুবিধা প্রত্যাহার করা নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আইসিটি খাতের এই কর অব্যাহতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীও এই সুবিধা আপাতত বহাল রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন। আইসিটি খাতে কর অব্যাহতি আগামী বাজেটেও বহাল থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
গতকাল সোমবার (২০ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বেসিস’র ২০২৪-২৬ এর নবনির্বাচিত ইসি’র অভিষেক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। সম্মানিত অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসিস’র বিদায়ী জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকা।
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, “আগামী বাজেট উত্থাপনের আগেই আইসিটি খাতে কর অব্যাহতি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, হঠাৎ যদি কর অব্যাহতি তুলে দেন, তাদের ব্যবসায় সমস্যা হবে। আপনি আমাদের বলে দেন যে, আগামী তিন বছর বা পাঁচ বছর কর অব্যাহতি সুবিধা) থাকবে। একপর্যায়ে স্বাভাবিক করহার প্রযোজ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী তখন আমার সঙ্গে মোটামুটি একমত হয়েছেন। এখন দেখি, বাজেটে কী হবে সেটা নিয়ে আমি আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী এ কথাটা বলেছেন যে ধীরে ধীরে আইসিটি খাতের কর স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে। আশা করি, এই বাজেটে একটা পরিকল্পনা দেয়া হবে যে আইসিটি খাতে দুই বছর বা চার বছর পর কী হবে। আশা করছি আমরা সেই কথাটা বা পরিকল্পনাটা জানতে পারব।”
তিনি বলেন, “আপনারা আইসিটি খাতে যা করছেন, অসাধারণ করছেন। কিন্তু আইসিটি খাতের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে, সেদিকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। এখন সময় এআই, বিগ ডাটার। এসব বিষয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য কী করতে হবে, সেই পরবর্তী পর্যায়টা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। সেটা আপনাদেরই করতে হবে। আর আপনারা সরকারকে গাইড করবেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের কী নীতিসহায়তা বা অন্য কোন ধরনের সহায়তা প্রয়োজন। সরকার সেভাবে কাজ করতে চেষ্টা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের অন্য পর্যায়ে চিন্তা করতে হবে। কর অব্যাহতির জন্য আপনারা লড়াই করবেন, ঠিক আছে। কিন্তু এই খাতের সার্বিক যে চিত্র, সেখানে এটা সামান্য একটি বিষয়। এর চেয়ে বড় বড় সমস্যা এই খাতে আছে। সেই সঙ্গে সুযোগও রয়েছে। সমস্যাগুলো দূর করে সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য কী কী করা প্রয়োজন, সেই গাইডেন্সটা আপনাদের দিতে হবে। এই খাতের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে কী কী নীতিসহায়তা প্রয়োজন, সেটা আমাদের বলবেন আপনারা, সরকার সেভাবে আপনাদের সহায়তা দেবে। আইসিটি খাত অনেকটা এগোলেও এই খাতের নেতৃত্ব হিসেবে বেসিসকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরবর্তী পর্যায়ের প্রযুক্তি নিয়ে পরিকল্পনা করার আহ্বান জানান তিনি।”
উল্লেখ্য, আইসিটি খাতে সরকার ঘোষিত কর অব্যাহতি সুবিধা শেষ হচ্ছে চলতি অর্থবছরেই। তবে এই খাতের সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর দাবি, এখনই এই কর অব্যাহতি সুবিধা যেন তুলে না নেয়া হয়। গতকাল বেসিস’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানেও সে দাবির কথা ওঠে আসে।