আমদানি-রফতানি সহজ করতে অনলাইনে ‘বিএসডব্লিউ’
ক.বি.ডেস্ক: আমদানি-রফতানির সার্বিক প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে শুল্কসংক্রান্ত সংস্থাগুলোকে অনলাইনে একই জায়গায় আনার জন্য ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ (বিএসডব্লিউ) চালু করা হয়েছে। ২০১৭ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানি ও রফতানি প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে সাতটি সংস্থাকে একই ব্যবস্থার অধীনে এনে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) চালু করে। এখন থেকে এটি ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ (বিএসডব্লিউ) নামে পরিচালিত হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে এই সাতটি সংস্থা কোনো কাগজপত্রের ব্যবহার করবে না। তাদের সব কার্যক্রম অনলাইনে হবে।
বিএসডব্লিউ’র আওতায় আসা সাত সংস্থা হল- পরিবেশ অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। ‘বিএসডব্লিউ’ এর মাধ্যমে পুরো ব্যবসায় একটি পরিবর্তন আসবে।
গত বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ (বিএসডব্লিউ) নামের একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী। সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, ডিজিডি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দার ও বেপজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইপিবি’র পরিচালক (নীতি ও পরিকল্পনা) আবু মুকলেস আলমগীর হোসেন, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মোহাম্মদ মেহেদী হোসেন এবং ডিজিডি’র সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন এনবিআর’র সদস্য (কাস্টমস: রফতানি, বন্ড এবং আইটি) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ‘বিএসডব্লিউ’ পোর্টাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার জাহিদ হোসেন।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই ধরনের একটি সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যদি পুরোপুরি ডিজিটাইজড না হই, তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব না। সরকারের সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই পদচিহ্ন হবে সবচেয়ে কার্যকর এবং সর্বজনীন। একাধিক উইন্ডোতে ফিরে যেতে সক্ষম হবেন। এ ছাড়া আর ১২টা সম্পর্কে আমি একটা সময়সীমা দিয়েছি। সেটা হলো মার্চ। তাদেরকে মার্চেই শুরু করতে হবে। না হলে কী করবেন, আপনারা বলেন। আমার কাছে কিছু অস্ত্র আছে উপদেষ্টা হিসেবে, সেগুলো না হয় আমি প্রয়োগ করবো। আমরা একটি ডিজিটাল অর্থনীতি এবং ডিজিটাল দেশ গড়তে চাই এবং আসুন বিএসডব্লিউ দিয়ে শুরু করি।”
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বিএসডব্লিউ চালু হলে দেশ ধীরে-ধীরে কাগজ-বিহীন সংস্কৃতিতে পরিণত হবে। আন্তঃ-এজেন্সি সমন্বয়ের ক্ষেত্রে আরও ডিজিটালাইজেশন প্রচেষ্টার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।”