আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১ এ বাংলাদেশের সাফল্য
ক.বি.ডেস্ক: জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ‘‘আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১’’। তিন দিনব্যাপী আয়োজিত (৮-১০ অক্টোবর) এই অলিম্পিয়াড এবারই প্রথম হংকংয়ের বাইরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের আয়োজনে ১টি সিলভার, ২টি ক্যাটাগরিসহ ১টি প্রোটোটাইপ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ সর্বমোট ৪টি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। এবারের আয়োজনে সিবিডিসি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি, ই-গভর্নেন্স, আইডেন্টিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি এবং ফিনটেক বিষয়ে মোট ৪ টি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় মোট ১২টি দেশ অংশগ্রহণ করে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ এই আয়োজনে বিচারক এবং বক্তা হিসাবে সংযুক্ত হন।
গত রবিবার (১০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১ এর বর্ণাঢ্য সমাপনী এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন প্রধান অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। অনলাইনে সংযুক্ত হন হংকং ব্লকচেইন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. লরেন্স মা এবং ব্লকচেইন সোসাইটির ডেভিড সিজেল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এই অলিম্পিয়াডের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ এন করিম এবং আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। সভাপতিত্ব করেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান।
আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১ এর বিজয়ীদের জন্য সর্বমোট ৪০,০০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের পুরস্কার দেয়া হয়। মোট ৮টি ক্যাটাগরি প্রাইজসহ থিমেটিক প্রাইজ হিসেবে গোল্ড, সিলভার এবং ব্রোঞ্জ মেডেল অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। আইডেন্টি অ্যান্ড প্রাইভেসি ক্যাটাগরিতে হংকংয়ের ‘হেল্পপ্রুফ’ গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ১০ হাজার ইএস ডলার পেয়ে বিজয়ী হয়। ফিনটেক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের ‘হোপফুল্লি হাইপোথেটিক্যাল্লি থিওরেটিক্যাল্লি’ সিলভার মেডেল অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ৭ হাজার ৫ শত ইএস ডলার এবং সাপ্লাইচেইন ক্যাটাগরিতে ভিয়েতনামের ‘ভিফাচেইন’ ব্রোঞ্জ মেডেল অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ৫ হাজার ইএস ডলার পায়।
অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে ই-গভার্নেন্সে বাংলাদেশের রকেট, ডকুমেন্ট অথেন্টিফিকেশনে বাংলাদেশের ব্রোগ্রামারস্, ফিনটেকে হংকংয়ের ফিডেলো, হেল্থটেকে ভিয়েতনামের লাইফলিংক, আইডেন্টি অ্যান্ড প্রাইভেসিতে ভিয়েতনামের কিডক্যাট, এডুটেকে ফিলিপিনের এডারনা, সাপ্লাইচেইনে হংকংয়ের টুলাক্স এবং প্রোটোটাইপের ফিনটেকে বাংলাদেশের ডিইউ নিমবাস এর নাম ঘোষনা করা হয়। ক্যাটাগরিভিত্তিক এই ৮টি প্রজেক্ট প্রত্যেকে পাচ্ছে ২ হাজার ৫ শত ইএস ডলারের পুরস্কার।
আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ এবং টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে এই আয়োজন করে। সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিলো এফবিসিসিআই, বেসিস, আইবিএ, এসিআই লি., ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউথ পলিসি ফোরাম ও একাত্তর টিভি।