আগামী ৫ বছরে দেশের প্রতিটি স্থানে ফাইভজি পৌঁছে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে কমপিউটার পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে কমপিউটার বিপ্লবেরও সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছর থেকে কমপিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারের ফলে কমপিউটার সাধারণের নাগালে পৌঁছে যায়। শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে ইতিমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইলের ফোরজি প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছেছে ফাইবার অপটিক্স। ডিজিটাল সংযুক্তির এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি স্থানে উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ ফাইভজি প্রযুক্তি পৌঁছে যাবে।
গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনে অবস্থিত বিসিএস কমপিউটার সিটিতে অনুষ্ঠিত ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার। সভাপতিত্ব করেন বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলার আহবায়ক মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়া এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা কমপিউটারের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরিতে কমপিউটার মেলার আয়োজনসহ মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি। কম্পিউটার সহজলভ্য করতে নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় ট্রেডবডির সময়োপযোগী ভূমিকার ফলশ্রুতিতে দেশে কমপিউটার বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়েছে। মানুষের পরিবর্তিত চাহিদার প্রয়োজনে নতুন নতুন ডিভাইসের চাহিদা মেটাতে বিক্রয় ও সেবার বিষয়টি নতুন করে এখন ভাবতে হবে। ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানব সম্পদ তৈরিতে কমপিউটার শিল্প অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণেও এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সমুহকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে প্রণোদনাসহ সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সরকারি প্রদত্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে উন্নত ব্র্যান্ডের ১৬টি মোবাইল কারখানা ইতিমধ্যে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মোবাইলের চাহিদা পূরণ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপরেই স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়িত হবে। ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন এবং উৎপাদিত যন্ত্র প্রমোট ও বাজারজাত করতে নীতি নির্ধারক ও ট্রেডবডিসহ ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে কাজের সময়, এবং ধরন পরিবর্তন হচ্ছে নতুন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে। সেই জন্য আমি মনে করি, আইসিটি মেলাগুলো আয়োজন করা উচিত। আমরা যেন নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন ডিভাইসগুলো এর মধ্য দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি। বাংলাদেশ শতকরা সত্তর ভাগ তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আগামী পৃথিবীর নেতৃত্ব দিবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি হবে আমাদের হাতিয়ার।
সর্বশেষ সংস্করণের অত্যাধুনিক এবং নিত্য নতুন অনুমোদিত প্রযুক্তিপণ্যের সমাহার নিয়ে শুরু হলো ‘‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’’। বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে ‘টেকনোলজি, হাইওয়ে টু স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছয় দিনব্যাপী (২-৭ অক্টোবর) এবারের মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে। মেলা চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’ এ থাকছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে আকর্ষণীয় উপহার, সব দর্শনার্থীদের জন্য মেগা ডিসকাউন্ট, নিশ্চিত উপহার, ক্যাশব্যাক, স্ক্র্যাচ অ্যান্ড উইন, টেক সেলিব্রেটি আড্ডা, অনুমোদিত পণ্যে নিশ্চিত ওয়ারেন্টিসহ সর্বোপরি সঠিক পণ্যের নিশ্চয়তা। মেলায় স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলন ছাড়াও পার্টিসিপেন্ট স্টল থাকছে।