আগামী ৩ বছরে ৫জি স্মার্টফোন নিয়ে আসবে রিয়েলমি
ক.বি.ডেস্ক: রিয়েলমি, জিএসএমএ, কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ এবং কোয়ালকমের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘‘৫জি সামিট’’। সামিটে আগামী ৩ বছরের মধ্যে ১০ কোটি তরুণ ব্যবহারকারীর জন্য ৫জি স্মার্টফোন নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে রিয়েলমি। সম্মেলনে রিয়েলমি তরুণ সমাজের প্রতি ব্র্যান্ডটির দায়বদ্ধতা, তরুণদের প্রয়োজনীয় ৫জি প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং বিশ্বজুড়ে ৫জি প্রযুক্তির অগ্রগতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় রিয়েলমি তাদের জিটি সিরিজের নতুন মডেল, রিয়েলমি ৫জি পারফরম্যান্স ফ্ল্যাগশিপ এবং ক্যামেরা ফ্ল্যাগশিপ জুন এবং জুলাই মাসে বাজারে নিয়ে আসবে।
‘মেকিং ৫জি গ্লোবাল: অ্যাফরডিবিলিটি ফর দা ম্যাসেস’ শীর্ষক এই সম্মেলনে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, উপাদান বিক্রয়কারী এবং ডিভাইস প্রস্তুতকারক শিল্প থেকে শীর্ষ নেতারা একত্রিত হয়েছিলেন। ৫জি বিবর্তনের প্রযুক্তিগত দক্ষতা, ৫জি ও তরুণদের মধ্যে অনন্য সম্পর্ক এবং ৫জি ব্যবহারের পথ কীভাবে সুগম করা যাবে এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয় সম্মেলনে।
রিয়েলমির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাধব শেঠ বলেন, প্রথম ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি এক্স৫০ দিয়ে যাত্রা করে। এখন ব্যবহারকারীদের জন্য আরও স্লিম এবং দারুণ স্পেসিফিকেশন, ডিজাইনের ৫জি ফোন উপহার দিতে নতুন নতুন ডিজাইনের ধারণা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন অন্বেষণ করে যাচ্ছি। আমরা রিয়েলমির পক্ষ থেকে আরও শক্তিশালী ৫জি স্মার্টফোন বাজারে আনতে বদ্ধপরিকর। ৫জি যুগে এই নতুন প্রযুক্তি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করা রিয়েলমির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন। গ্রাহকদের চাহিদা আমলে নিয়ে পণ্য উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে এবং আমাদের অংশীজনের সঙ্গে বিস্তৃত ৫জি ইকোসিস্টেম তৈরিতে রিয়েলমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জিএসএমএ ইন্টেলিজেন্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ কালভিন বাহিয়া বলেন, ৫জি কভারেজের বৃদ্ধি যদিও উত্সাহজনক, জিএসএমএর একটি জরিপে দেখা গেছে যে নতুন প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে গ্রহণের ক্ষেত্রে ডিভাইসগুলোর সামর্থ্য, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, দক্ষতার অভাব এবং মোবাইল ডেটার ব্যয়ের মতো বেশ কিছু অন্যান্য বাধা গ্রাহকদের মধ্যে রয়ে গেছে। তবুও ৫জি রূপান্তর বিশ্বজুড়ে অনিবার্য এবং ৫জি আগামী দশকে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের যোগান দিবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিম শাও এই সম্মেলন উপলক্ষে বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সারা বিশ্বেই ৫জি প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক বাধা রয়েছে আর এই দুর্বলতার জায়গা কাটিয়ে তুলতে রিয়েলমি তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। তরুণদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে যেতে চাই এবং আমরা জানি যে তরুণ প্রজন্মের ৫জি-এর মতো স্মার্ট প্রযুক্তি প্রয়োজন। বর্তমান ৪জি নেটওয়ার্কেও ৫জি স্মার্টফোন নিশ্চিত করবে অধিকতর ভালো পারফরমেন্স। পাশাপাশি, এখন থেকেই ৫জি স্মার্টফোনের ব্যবহার তরুণদের আগামীদিনের পথে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। ৫জি হবে সবার জন্য এবং সবার প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি প্রাইজরেঞ্জেই আমরা আনতে যাচ্ছি ৫জি স্মার্টফোন।
৫জি সামিট নিয়ে বিস্তারিত জানতে ক্লিকঃ https://cutt.ly/realme5G