আগামী পাঁচ বছরে স্মার্ট টিভি’র বৈশ্বিক বাজার ৪৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে

ক.বি.ডেস্ক: ২০২৪ সাল শেষে বৈশ্বিক স্মার্ট টিভির বাজার ২২৭ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগামী পাঁচ বছরে (২০৩০ সালের শেষ নাগাদ) ৪৫১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। জার্মানিভিত্তিক বৈশ্বিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টার এক প্রতিবেদনে আগামী পাঁচ বছরের সিএজিআর ১২ দশমিক ৮ শতাংশ বিবেচনায় এমনটাই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড ১৯২৬ সালে প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন, যা গ্রাহক চাহিদা বিবেচনায় সাদা-কালো থেকে রঙিন এবং সর্বশেষ স্মার্ট টিভিতে বিবর্তিত হয়েছে। টেলিভিশনের ব্যবহার কেবল নির্দিষ্ট চ্যানেল দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে এখন ইন্টারনেটভিত্তিক সুবিধা, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং গেমিংয়ের জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। বহুমুখী ব্যবহারের সুবিধার জন্য এক সময়ের বোকা বাক্স নামে পরিচিত টিভি এখন আধুনিক লাইফস্টাইলের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেছে। এ কারণে স্মার্ট টিভির বাজার ক্রমেই বড় হচ্ছে।
স্ট্যাটিস্টার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বৈশ্বিক স্মার্ট টিভির বৃহত্তম বাজার হিসেবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল শীর্ষে ছিল। বৈশ্বিক বাজারের ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ এ অঞ্চলের দখলে ছিল। একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে। এ ছাড়া গত বছর বিক্রির শীর্ষে ছিল ৪৬ থেকে ৫৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের স্মার্ট টিভি। বাসা-বাড়ির জন্য উপযুক্ত হওয়ায় উল্লেখিত স্ক্রিনের টিভি বেশি বিক্রি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্মাতারা টিভিতে নিয়মিত উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনে কাজ করছে। হাই-ডেফিনিশন ডিসপ্লে প্রযুক্তির পাশাপাশি এখন কণ্ঠস্বর বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সুবিধা যুক্ত হয়েছে। স্যামসাংয়ের নতুন মডেলগুলোতে জেশচার কন্ট্রোল প্রযুক্তি এসেছে। অর্থাৎ রিমোট ছাড়াই শুধু হাতের ইশারাতেই চ্যানেল বা ভলিউম পরিবর্তন করার সুবিধা রয়েছে।