সাম্প্রতিক সংবাদ

আগামীর বাংলাদেশ হবে দক্ষতার বাংলাদেশ: আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী

ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে জাপান, মধ্যপ্রাচ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে কোটি কোটি দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ যদি এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারে, তবে আমরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারব। আগামীর বাংলাদেশ হবে দক্ষতার বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি কাজ করছে। আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে দেশের তরুণ সমাজকে কাজে লাগানো।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (জেন) বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্কিলিং বাংলাদেশ: এন্ডভান্সিং দ্য স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ইকোসিস্টেম ফর ন্যাশনাল গ্রোথ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জেন বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং ইউনিভার্সিটি অব স্কিলস এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (ইউএসইটি)- এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে ‘একটি জাতীয় দক্ষতা বাস্তুতন্ত্রের দিকে: দৃষ্টিভঙ্গি এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার এবং ‘দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আনলক করা’ শীর্ষক বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেন বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।

সভাপতিত্ব করেন ইউএসইটি’র উপাচার্য ড. ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল হক এবং সঞ্চালনা করেন জেন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম হাসান রিপন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আশিক ইসলাম, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আগামী ২০৩৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। এই বিশাল অর্থনীতির বাজারে বিএনপি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রথম আঠারো মাসেই এক কোটি নতুন চাকরি সৃষ্টি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেই সঙ্গে সিঙ্গাপুর, জার্মানি এবং অস্ট্রলিয়ার মতো উন্নত দেশের আদলে কর্মসংস্থান বাজার সৃষ্টির প্রস্তুতিও দলটির রয়েছে।”

ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেন, “আমরা শিক্ষাব্যবস্থাকে বাজারকেন্দ্রিক ও দক্ষতাভিত্তিক করব। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু সনদ নয়, বাস্তব কাজের জন্য উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি ৬৪ জেলার টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারগুলোকে আধুনিক দক্ষতা ও চাকরির কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে। নারী, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের অর্থনীতিতে যুক্ত করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেয়া হবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কাঠামোবদ্ধ প্রশিক্ষণ, সনদ ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে মূল অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

গোলটেবিল বৈঠকে নীতিনির্ধারক, রাজনৈতিক নেতা, উন্নয়ন অংশীদার, শিল্প নেতা, শিক্ষাবিদ এবং যুব প্রতিনিধিদের একত্রিত করে বাংলাদেশকে একটি দক্ষতা-চালিত অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি জাতীয় কাঠামো অন্বেষণ এবং গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *