সাম্প্রতিক সংবাদ

আইসিটির মাধ্যমে ভূমি সেবা জনবান্ধব করা হচ্ছে: ভূমি উপদেষ্টা

ক.বি.ডেস্ক: আইসিটির মাধ্যমে ভূমি সেবা জনবান্ধব করা হচ্ছে। নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর ও খতিয়ান সেবা শতভাগ অনলাইন করাসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় পেমেন্ট ক্যাশলেস করা হয়েছে। ভূমি সেবা প্রদানে আধুনিক বিজ্ঞান ও আইসিটির ব্যবহারের ফলে সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সন্তুষ্টির মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সংস্কার ও অর্জন বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আজ রবিবার (২৫ মে) রাজধানী ঢাকার সাত রাস্তায় ভূমি ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ‘ভূমি মেলা-২০২৫’- এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এ জে এম সালাহউদ্দিন নাগরী, মন্ত্রণালয়ের অধিগ্রহণ ও খাসজমি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদ হাসান, জরিপ ও সায়রাত অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সায়মা ইউনুস ও মো. আব্দুর রউফ, আইন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “সরকার ইতোমধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অনলাইনেই ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, ফলে দৈনিক গড়ে ১০-১২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। ভূমি সেবার সাথে যুক্ত হয়েছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) তথা পেমেন্ট গেটওয়েসহ অর্থ বিভাগের এ-চালান সিস্টেম। এতে নাগরিকদের অনলাইন সিস্টেমে পরিশোধিত ফি- সমূহ তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে।”

‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’ স্লোগানে দেশব্যাপী তিন দিনব্যাপী (২৫-২৭ মে) শুরু হলো “ভূমি মেলা ২০২৫”। ই-নামজারিসহ মেলায় থাকছে নানা সেবার আয়োজন। ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় এই মেলা চলছে। দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসনসহ উপজেলা-সার্কেল ভূমি অফিস এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতেও এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলা চলবে আগামী ২৭ মে পর্যন্ত।

ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলা প্রশাসন স্ব স্ব উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করছে। জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত স্টলে গিয়ে করা যাবে ই-নামজারির আবেদন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই দিনে দিনে সরবরাহ করা হবে জমির খতিয়ান। পাওয়া যাবে মৌজার ম্যাপ এবং অনলাইনে খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি। এ ছাড়া ভূমির বিভিন্ন ধরনের ডিজিটালাইজেশন নিয়ে সেবক গ্রহীতাদের অবহিত করা হবে মেলাগুলোতে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *