আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর: মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
ক.বি.ডেস্ক: ইন্টারনেটের সেবার মানোন্নয়নে ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন (আইপিভি) ৪ থেকে ৬ এ রাউটিংয়ের ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা প্রদানে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপনিক) বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। এপনিক মহাপরিচালক পল উইলসন গতকাল বুধবার (১০ মে) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে পল উইলসন আইপিভি -৬ বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরণের কারিগরি সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারের প্রয়োজনীয়তা, উন্নত গ্রাহক সেবাসহ দেশে ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণের সুফল ইত্যাদি বিষয়ে মতমিনিময় হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক, ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির, আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া, পরিচালক মো. জাকির হোসেন।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। আইপিভি ৪ ও আইপিভি ৬ অ্যানাবল রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অপরিহার্য। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। এ বিষয়েও আমরা অত্যন্ত মনোযোগী। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মাধ্যমে গত চৌদ্দ বছরে আমরা শুধু ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কই তৈরি করিনি, ইন্টারনেটের প্রতি এমবিপিএস এর মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এক দেশ এক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অঞ্চলে মোবাইল ফোনের জন্য ৪জি নেটওয়ার্ক পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছি। ২০২১ সালে ৫জি প্রযুক্তি চালু করেছি।
পল উইলসন বাংলাদেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অগ্রগতিকে এই অঞ্চলের অনেক বড় একটি সফলতা বলে উল্লেখ করেন। তিনি নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীসহ নেটওয়ার্ক সেবা দাতাদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস ব্যক্ত করেন।