আইডিয়া প্রকল্পের আইওটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ
‘ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)’ বিষয়ের ওপর (১ জুলাই) একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আইসিটি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) আইডিয়া প্রকল্প। দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণটি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের এডুকেশন ফর ন্যাশনের আওতায় উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয়।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং বুয়েটের সিএসই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ড. এম কায়কোবাদ।অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।
দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণটিতে রিসোর্স পারসন হিসেবে সংযুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) সহযোগী অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রফেসর ড. এ বি এম আলিম আল ইসলাম এবং বন্ডস্টেইন টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইম্প্যাক্ট অব ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি); লোকাল আইওটি রিসার্স উইথ গ্লোবাল ইম্প্যাক্টস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটি বিষয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট উপস্থাপন করা হয়। এই প্রশিক্ষণে রাজশাহী বিভাগের প্রায় ৭০ জনের অধিক প্রশিক্ষণার্থী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আমরা প্রথম দিকের শিল্পবিপ্লবে অংশীদার হতে পারিনি। আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে ডিভাইস গুলো আছে সেগুলোতে আমাদের পারদর্শীতা এখন ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। সফলতার জন্য আমাদের সকলকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি কাজে দেশের দক্ষতা বা স্কিল ব্যবহার শুরু হয়েছে। আমাদের যে জনশক্তি আছে সেটাকে আরও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলে যদি আমরা আগামী দিনের পথগুলো দেখতে পারি তাহলে আমাদের যে কাঙ্খিত স্বপ্ন “২০৪১ সালে উন্নত বিশ্ব” সেটা আমরা অর্জন করতে পারব বলে মনে করি। সেই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে আগাতে হবে।
পার্থপ্রতিম দেব বলেন যে, প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরি করে একটি ইনোভেশন ইকোসিস্টেম সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছি। একটি স্মার্ট সিটি বা একটি স্মার্ট পরিবেশ তৈরি করতে আইওটি এর অবদান অপরিসীম।
ড. এম কায়কোবাদ তিনি জাপান, তাইওয়ান, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের উদাহরণ তুলে ধরে তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, আমাদের শুধু কমপিউটার থাকলেই চলবে না এর পাশাপাশি এর সঙে সংযোগ থাকতে হবে ও দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার এখনকার রূপ হল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের নিজেদেরকেই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বিদেশ থেকে কমপউিটার এবং যন্ত্রাংশ কিনে, সফটওয়্যার কিনে, বিদেশের প্রকৌশলীদের বাংলাদেশে এনে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিদেশী পরামর্শক ব্যয়বহুল তাই দেশে যদি দক্ষতা বাড়ানো যায় তবে সেটা অধিক ফলপ্রসূ হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।
সৈয়দ মজিবুল হক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ইন্টারনেটকে আমরা কিভাবে কাজে লাগাতে পারি এবং কিভাবে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ব্যবহার করতে পারি সে বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমানে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করছে আইডিয়া প্রকল্প বলে তিনি জানান।
আইডিয়া প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক কাজী হোসনে আরা, প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক আর এইচ এম আলাওল কবির, প্রকল্পের পরামর্শক শারমিন আকতার সাজ, কমিউনিকেশনস্ বিষয়ক পরামর্শক সোহাগ চন্দ্র দাস, প্রকল্পের কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলামসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকগণ, বিসিসি ও আইসিটি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এ সময় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন। সবার জন্য এই পুরো আয়োজনটি স্টার্টআপ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।