আইএসপিএবি এবং হুয়াওয়ে’র প্রশিক্ষণ কর্মশালা
ক.বি.ডেস্ক: ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং হুয়াওয়ে’র যৌথ উদ্যোগে ‘অ্যাডভান্স রাউটিং, সুইচিং এবং সিকিউরিটি’ এর ওপর তিন দিনব্যাপি (১-৩ ডিসেম্বর) প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৪০ জন ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহন করেন।
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আইসিটি সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং নিরাপদে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রান্তিক মানুষের নিকট সহজেই পৌঁছে দেয়া, নেটওর্য়াক তৈরী এবং টেকনিক্যাল সমস্যা হলে কিভাবে তা সমাধান করা যায় তা প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ জানতে পেরেছেন।
গত রবিবার রাজধানীর হুয়াওয়ে একাডেমি হল বে গ্যালারীতে প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার। সভাপতিত্ব করেন আইএসপিএবি’র সভাপতি মো. ইমদাদুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যালেন লিইউ, আইএসপিএবি’র সেক্রেটারী জেনারেল নাজমুল করিম ভূঁইয়া, কোষাধক্ষ্য মো. আসাদুজ্জামান, পরিচালক নাছির উদ্দিনস প্রমুখ। প্রশিক্ষক ছিলেন আর্ন্তজাতিক ট্রেনিং বিশেষজ্ঞ মো. সামসুজ্জামান ফরিদ ও মো. মাহবুব হাসান পাবেল।
শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ‘‘আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং পেশাগত শিক্ষা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জ্ঞান লাভ করে থাকি কিন্তু ওয়ার্কশপ বা ট্রেনিং এর সুবিধা হল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং পেশাগত শিক্ষা এর একটি সমন্বয় লব্ধ আনুষ্ঠানিক ফলাফল যা পরবর্তীতে কাজে আরও স্মার্ট হতে সাহায্য করে এবং কাজের ফলাফল কে আরও অগ্রগতি সাধন করে। যার মাধ্যমে আমরা দ্রুত স্মার্ট হতে পারব এবং অতি দ্রুত আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারব।’’
মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘‘শুধুমাত্র ঢাকায় নয় ঢাকার বাইরে প্রতিটি বিভাগে ও জেলায় প্রতিনিয়ত এমন প্রশিক্ষণের আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারা যেমন সুফল পাবে তার সঙ্গে সাথে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ এর মার্কেট প্রসার হবে। শিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে প্রয়োগের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’’