অপো ফাইন্ড এক্স৩ সিরিজে উন্মোচিত হবে ‘ফুল-পাথ কালার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’

‘ফুল-পাথ কালার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের অংশ হিসেবে ফাইন্ড এক্স৩ সিরিজে উন্মোচিত হবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে অপো। অপোর ফুল-পাথ কালার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি প্রথম অ্যান্ড্রয়েড কালার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা ক্যাপচার, স্টোরেজ ও ডিসপ্লে থেকে পুরোপুরিভাবে ডিসিআই-পি৩ ওয়াইড গামুট ও ১০-বিট কালার ডেপথকে সমর্থন করবে। প্রকৃত ও নিখুঁত কালার রিপ্রোডাকশনের মাধ্যমে চমতকার ভিউইং এক্সপেরিয়েন্স দিবে।
বছরের পর বছর ধরে উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্টফোনের ডিসপ্লের কালার এক্সপ্রেশনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। ফুল-পাথ কালার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অপোর ২০২১ ফ্ল্যাগশিপ ফাইন্ড এক্স৩ সিরিজে প্রথমবারের মতো পাওয়া যাবে। অথেনটিক, অ্যাকুরেট এবং ইনডিভিজ্যুয়াল কালার ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে অপোর লক্ষ্ হলো তরুণদের একটি রঙিন জীবনের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা।
অপোর ফুল-পাথ কালার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে সিস্টেম লেভেলের মৌলিক এবং স্মার্ট ফাংশন। ২০১৮ সালে অপোর আরঅ্যান্ডডির ইঞ্জিনিয়ারিং দল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা কালার নিয়ে যে সমস্যার মুখোমুখি হন সে বিষয়ে অবগত হন। ভিজ্যুয়াল বিষয়টিকে বিবেচনা করে, অপোর আরঅ্যান্ডডি ইঞ্জিনিয়ারিং দল উন্নত ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সের জন্য কালার কারেকশনের ওপর সিস্টেমেটিক গবেষণা শুরু করে। পরবর্তীতে, একটি কমপ্রিহেনসিভ কালার কারেকশন চালুর মাধ্যমে অপো আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। অপোর আরঅ্যান্ডডি ইঞ্জিনিয়ারিং টিম ডিসটরশন কারেকশন, মাল্টি-ফ্রেম নয়েজ রিডাকশন এবং এক্সট্রিম পারসেপচুয়াল সুপার-রেজ্যুলেশনের মতো বিষয়গুলোর অ্যালগরিদমকে উন্নত করেছে। অপো ইমেজ সেন্সরের বিষয়টিকে সমর্থন করে। এতে রয়েছে ডিজিটাল ওভারল্যাপ (ডিওএল) এইচডিআর মোড।

অপোর প্রোডাক্ট ম্যানেজার বাই বলেন, রঙ সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এবং বাস্তবিক জীবনে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর প্রভাব ফেলে। এ কারণেই, আমাদের প্রতিদিনের পথচলার প্রতিটি ক্ষেত্রে চমতকার ও হাই-কোয়ালিটি ভিজ্যুয়াল ধারণে আমরা কালার ম্যানেজমেন্টের প্রতিটি ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করেছি। ব্যবহারকারীদের দুর্দান্ত ও সিস্টেমেটিক কালার এক্সপেরিয়েন্স দেয়াই আমাদের লক্ষ্য, যা কনটেন্ট নির্মাণকারীদের পছন্দমতো ভিডিও ধারণ করে তাদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সহায়তা করবে।
আগামী দিনগুলোতে ওয়াইড কালার গামুট ও হাই কালার ডেপথের কথা বিবেচনা করে অপোর আরঅ্যান্ডডি ইঞ্জিনিয়ারিং দল সিস্টেম ও হার্ডওয়্যারের ওপর গুরুত্বারোপ করে কালার রিপ্রোডাকশনের ক্ষেত্রে চমতকার কাজ করেছে। এ সিস্টেমটি এন্ড-টু-এন্ড সলিউশন, ইমেজ অ্যাকুইজিশন থেকে কমপ্যুটেশন, এনকোডিং, স্টোরেজ, ডিকোডিং এর সবগুলো ধাপকে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং এটি ১০বিট হাই কালার ডেপথ এবং পি৩ ওয়াইড কালার গামুটসহ এইচইআইএফ ইমেজকে সমর্থন করে। সঠিক হার্ডওয়্যার ক্যালিব্রেশন গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হবে। অপোর স্ক্রিন ক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়া প্রায় ০.৪ জেএনসিডিতে একটি প্রফেশনাল, ডিজিটাল ফিল্ম-গ্রেড কালার অ্যাকুরেসি দিতে সক্ষম এবং স্ক্রিনে ধারাবাহিকভাবে নিখুঁত ডিসপ্লের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে, অপোর প্রোপ্রাইটারি অ্যালগরিদম কালার স্পেসের কেন্দ্রে ডি৬৫ হোয়াইট পয়েন্টের সঙ্গে ডিসিআইকে সমন্বয় করে কালার গামুট কমপেটিবিলিটিকে নিশ্চিত করে।
বর্তমানে, সম্ভাব্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কালার ভিশন টেস্ট করে অপটিমাল সলিউশনের জন্য ঝিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে অপো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কালার ও ইমেজ সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. লুও মিং বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষের সুবিধার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করছি। আগামীর কালার কারেকশন হবে ব্যবহারকারী কেন্দ্রিক। ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনের প্যানেল থেকে রঙ বাছাই করে ভিন্নধর্মী ও পারসোনালাইজড ডিসপ্লে সৃষ্টি করতে পারবে এবং সিস্টেমটিকে সমন্বয় ও পরীক্ষা করতে পারবে।