অপো’র ২০২৩ ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ
ক.বি.ডেস্ক: ভিভা টেকনোলজি ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি ইভেন্ট। সম্প্রতি চার দিনব্যাপী (১৪-১৭ জুন) অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের ইভেন্টের মাধ্যমে প্রতি বছর বিজনেস লিডার, স্টার্টআপ এবং বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করে। ২০২৩ অপো ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের চূড়ান্ত ঘোষণা এবং গত বছরের উদ্বোধনী ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জের কিছু সাফল্যের গল্প তুলে ধরতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন নিয়ে ফিরে এসেছে অপো।
অপো ভিভাটেককে স্টার্টআপ এবং উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এর মিশনকে উৎসাহিত করার জন্য ব্যবহার করে। বার্ষিক ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি পেশাজীবীদের উদ্ভাবনী সলিউশন তৈরি করতে সক্ষম করে তুলে। ভিভাটেক ২০২৩, অপোর ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জের জন্য নিয়োগের চূড়ান্ত ধাপ। প্রস্তাবনা জমাদানের সময়সীমা ৩০ জুন। এখানে প্রতিটি অঞ্চল থেকে শীর্ষ পাঁচটি দল গ্লোবাল ডেমো ইভেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। পাঁচজন বৈশ্বিক বিজয়ী ৫০ হাজার ডলার অনুদান এবং অংশীদারিত্ব/অর্থায়নের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে অপো টেকনোলজি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এক্সপার্ট রাবিনোভিচ আদি বলেন, গত বছর প্রথম অপো ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জের অভূতপূর্ব সাড়া আমাদের স্টার্টআপগুলোতে গুণগত উদ্ভাবনের বিশাল সম্ভাব্যতা এবং সম্ভাবনা দেখিয়েছে। এই বছরের দ্বিতীয় অনুপ্রেরণা চ্যালেঞ্জের জন্য, আমরা ’ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ফর পিপল’ এবং ‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ফর দ্যা প্লানেট’ এর ওপর জোর দিয়ে দুটি নতুন এন্ট্রি বিভাগ চালু করেছি। জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের সুরক্ষার মতো বিষয় এই গ্রহের প্রত্যেকের অভিন্ন লক্ষ্য। স্টার্ট-আপ কমিউনিটির দক্ষতার সঙ্গে আমাদের নিজস্ব রিসোর্স সংমিশ্রণের মাধ্যমে, আমরা আশা করি যে আমরা এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে উদ্ভাবন ব্যবহার করতে সত্যিকারের পরিবর্তন ঘটাতে পারি।
সবার জন্য উন্নত ভবিষ্যত গড়তে প্রযুক্তিকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে তার মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি ২০২৩ অপো ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জের সর্বশেষ আপডেটগুলো তুলে ধরেন এবং টেকসই ও সহজলভ্য প্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি স্টার্টআপকে তাদের উদ্ভাবনপ্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
২০২২ ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জে ভয়েস কমিউনিকেশন এবং মনোমুগ্ধকর অডিও অভিজ্ঞতার জন্য ডিজিটাল সাউন্ড এনহ্যান্সমেন্ট প্রযুক্তিতে দক্ষতার জন্য বিখ্যাত অ্যালাঙ্গো টেকনোলজিস গত বছরের অপো ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের বিজয়ী হয়েছিল। তাদের প্রস্তাবনা, ধারণা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ‘বিহিয়ার লাইন’ এর কারণেই তারা প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে।
অ্যালাঙ্গো টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ড. আলেকজান্ডার গোল্ডিন বলেন, আমরা অপোর সঙ্গে একটি চমকপ্রদ ভিডিও করেছি, অ্যালগরিদমকে পরিমার্জিত করেছি এবং পুরষ্কারের অর্থ দিয়ে আমাদের অ্যাপ্লিকেশন সম্প্রসারণ করেছি। অপো ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে আমরা আমাদের উদ্ভাবনী সল্যুশনকে মূলধারার ইলেকট্রনিক ডিভাইসে একীভূত করে একটি কার্যকরী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছি।
সাইন নাউ এর সিনিয়র এসডাব্লিউ ডেভেলপার আসাফ হিজকিয়াহু বলেন, ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জে অংশ নেয়া বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের প্রোফাইল বাড়াতে সহায়তা করেছে। আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার ফলে আমরা মিডিয়া কভারেজ এবং ভিভাটেক- এ আমাদের উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছি। আমাদের অ্যাপ্লিকেশনটি অন- ডিমান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যাখ্যা প্রদানে সক্ষম; যা বধির সম্প্রদায়ের শুনতে সহায়তা প্রদান করে। অপোর সহায়তায় আমরা সহজলভ্য এবং সমান সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
সোলকোল্ড এর সিইও ইয়ারন শেনহাভ বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে, যেখানে সূর্যের তাপ আমাদের গ্রহ দ্বারা বিলুপ্ত করা যায় না, আমাদের উদ্ভাবনী সমাধানটি তাপকে প্রতিফলিত করে, রূপান্তর করে এবং ছেড়ে দিয়ে জিরো কার্বন নির্গমনের সাথে ‘আউটডোর কুলিং’ অর্জন করতে সক্ষম।