আনুষাঙ্গিক প্রযুক্রির পণ্য

অটোমেটিক ডুপ্লেক্স প্রিন্টার উন্মোচন করেছে ওয়ালটন

ক.বি.ডেস্ক: ‘প্রিন্টন’ ব্র্যান্ডের নতুন মডেলের ৪০ পিপিএম অটোমেটিক ডুপ্লেক্স প্রিন্টার উন্মোচন করেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে। ওয়ালটনের এই প্রিন্টারে কমপিউটার বা ল্যাপটপের পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন বা ট্যাব ব্যবহার করেও সহজেই প্রিন্ট করা যাবে। বাজারে আসা ওপি৪০১ডিডব্লিউ মডেলটি দ্রুতগতির প্রিন্টিং সুবিধাযুক্ত। প্রিন্টারটির মূল্য ২৭ হাজার ৫০০ টাকা।

‘প্রিন্টন’ ব্র্যান্ডের ওয়ালটনের এই প্রিন্টারে ১.২ গিগাহার্টজ প্রসেসর এবং ৫১২ মেগাবাইট মেমোরি রয়েছে। এর প্রিন্টিং স্পিড ৪০ (এ ফোর) এবং ৪২ (লেটার) পিপিএম। প্রিন্টারে কমান্ড দেয়ার ৬.৯ সেকেন্ডেরও কম সময়ে প্রথম পেজ প্রিন্ট হবে। এর মাসিক ডিউটি সাইকেল ১ লাখ পেজ।

সম্প্রতি ওয়ালটন আয়োজিত ‘এটিএস এক্সপো-২০২৪’ শিল্পমেলায় নতুন মডেলের এই প্রিন্টার উন্মোচন করেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেকের এএমডি লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের ডিএমডি অব. ব্রি. জে. সাজ্জাদ হোসেন এবং ওয়ালটন কমপিউটার পণ্যের সিবিও তৌহিদুর রহমান রাদ।

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “ওয়ালটন দেশে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করছে। যথাযথভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ওয়ালটন এখন আমাদের ইমোশনে পরিণত হয়েছে। আমরা সাধারণত ভালো পণ্য সার্ভিসের জন্য বিদেশী পণ্যের দিকে ঝুঁকি। কিন্তু ওয়ালটন সেই ধারণায় পরিবর্তন করে দিয়েছে। সেরা সার্ভিস ও পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে ক্রেতাদের বিদেশ নির্ভরতা থেকে ফিরিয়েছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ওয়ালটনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।”

এস এম রেজাউল আলম বলেন, “ওয়ালটন ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক্স জগতের সব ধরনের পণ্যই শতভাগ কোয়ালিটি নিশ্চিত করে তৈরি করছে। এভাবেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী এবং রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন। এসব সম্ভব হয়েছে সরকারের দেশীয় শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন নীতি সহায়তার ফলে। দিন দিন ওয়ালটনের ডিজি টেক ও হাই টেক পণ্যের পরিসর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় বিনিয়োগকারীদের ও শিল্প রক্ষায় রপ্তানিসহ আরো কিছু বিষয়ে এখনো সরকারের নীতি সহায়তা দরকার। তাহলে দেশের অর্থনীতি আরো দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *