৯-১১ ডিসেম্বর অনলাইনে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০’
‘সোশ্যালি ডিসটেন্স, ডিজিটালি কানেক্টেড’ স্লোগানে ‘‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০’’ অনলাইন মেলার লোগো উন্মোচন, ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০ এর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার জন্য আজ বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে বিসিসি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, আইসিটি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভিন, এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
আগামী ৯-১১ ডিসেম্বর কোভিড-১৯ এর কারনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মেই ভার্চুয়াল মাধ্যম ও ভৌত কাঠামোর সংমিশ্রণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় এবং এশিয়ার অন্যতম বৃহত এই তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা হয় ২০০৯ সালে। এই দীর্ঘ ১২ বছরের বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্জনকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা এবং ডিজিটাল কর্মকান্ডে তরুণদের আরও আগ্রহী করে তুলে বিশ্ব প্রযুক্তি বাজারের সঙ্গে কানেক্টিভিটি তৈরির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, বেত বুনিয়ায় বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে তথ্য প্রযুক্তির সেবার যাত্রা করেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিলো বিজ্ঞান ও আধুনিকতার সমন্বয়ে দেশ গড়া। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বাংলাদেশের মানুষ ৪৬ হাজার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নাগরিক সেবা লাভ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ে রুপান্তরিত হব এবং ২০৪১ সালে তৈরি হবে উন্নত বাংলাদেশ। আমাদের এই সক্ষমতা তুলে ধরতেই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড প্ল্যাটফর্মের আয়োজন।
৯ ডিসেম্বর ১০.৩০ মিনিটে www.digitalworld.org.bd এই লিংক-এ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে যে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০ অনলাইন মেলা সকাল ১১ টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেলার উদ্বোধন করবেন। রেজিস্ট্রেশনের পর পছন্দের অ্যাভাটারে করে মেলার ভার্চুয়াল স্টলগুলো ঘুরে দেখতে পারবে। স্টলগুলো সাজানো থাকবে ৩টি ক্যাটাগরিতে। চাইলেই এগুলো কাস্টমাইজ করা যাবে এবং আলাদা আলাদা ফিচার অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এমনকি প্রতিটি স্টলের জন্যও থাকবে আলাদা অ্যাভাটার। দর্শক ভার্চুয়াল মাধ্যমেই নির্দিষ্ট স্টলের সঙ্গে চ্যাটে কিংবা ভিডিও কলে যোগাযোগ স্থাপন করে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
১০ ডিসেম্বর রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স। কনফারেন্সে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সমপদমর্যাদার ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অ্যামব্রাসিং ডিজিটাল টেকনোলজিস ইন দ্যা নিউ নরমাল বিষয়ে কি-নোট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করবেন প্রধাননমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
১১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় ইনক্লুসিভ ডেভলপমেন্ট বিষয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন ডব্লিউএইচও এর অ্যাডভাইজরি প্যানেলের মেন্টাল হেলথ বিষয়ক এক্সপার্ট ও অটিজম বিষয়ক ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
১১ ডিসেম্বর ১২টি ক্যাটাগরিতে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এর সম্মাননা প্রদান করা হবে এবং সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে মেলার সমাপনী ঘোষণা করা হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এ ছাড়াও অনলাইন মেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরতে সাজানো হয়েছে মুজিব কর্ণার।